ভাগাড়-কাণ্ডের জেরে ধাপায় নজরদারি বৃদ্ধি

পুর আধিকারিকেদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্তমানে ধাপায় নজরদারির জন্য উচ্চপদস্থ কর্তা ও অস্থায়ী কর্মী— মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৮ ০১:৫৬
Share:

ধাপার মাঠ। —ফাইল চিত্র

ধাপায় কারা ঢুকছেন, বেরোচ্ছেন, তার উপরে নজরদারি জোরদার করতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। প্রয়োজনে সেখানে আরও অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগের কথাও ভাবা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মৃত পশুর দেহাবশেষ ধাপায় ঠিক মতো ফেলা হচ্ছে কি না, তার উপরেও বাড়তি নজরদারি শুরু করতে চলেছে পুরসভা।
প্রসঙ্গত বজবজ-কাণ্ডের প্রেক্ষিতে শুক্রবারই মৃত জীবজন্তুর দেহ পোড়ানো নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। পুরসভা সূত্রের খবর, শনিবারই এ নিয়ে জঞ্জাল সাফাই দফতরের আধিকারিকদের বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুর আধিকারিকেদের একাংশ জানাচ্ছেন, বর্তমানে ধাপায় নজরদারির জন্য উচ্চপদস্থ কর্তা ও অস্থায়ী কর্মী— মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন রয়েছেন। সঙ্গে রয়েছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। জঞ্জাল নিয়ে কোন লরি ঢুকছে, বেরোচ্ছে এবং কারা সেখানে আসছেন, যাচ্ছেন, তা সিসি ক্যামেরায় ধরা থাকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও যাতে কোনও বহিরাগত ঢুকতে না পারে, তাই সেই ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে চাইছে পুরসভা। মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল সাফাই) দেবব্রত মজুমদার বলেন, ‘‘ধাপায় নজরদারির জন্য আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। তবে আরও সতর্ক থাকার জন্য অফিসারদের বলা হয়েছে।’’

পুরসভা সূত্রের খবর, সারা শহর থেকে মৃত কুকুর, বিড়াল-সহ পশুর দেহ তোলার জন্য বর্তমানে পুরসভার ২০টি গাড়ি রয়েছে। জঞ্জাল সাফাই দফতরের গাড়িগুলি এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না। মৃত জীবজন্তু তোলার জন্য সম্পূর্ণ আলাদা গাড়ি ব্যবহার করা হয়। তাই ওই গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়াতে চাইছে পুরসভা। ইতিমধ্যেই সে সংক্রান্ত প্রস্তাব জঞ্জাল সাফাই দফতরের তরফে তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

পুরকর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, ধাপায় মৃত পশুর দেহ যেখানে ফেলা হয়, সেখানে প্রতিনিয়ত বুলডোজার চালিয়ে মাটি দিয়ে তা ঢেকে দেওয়া হয়। যাতে পশুর দেহাবশেষ কোনও ভাবে বাইরে বেরোতে না পারে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘বজবজের সঙ্গে ধাপাকে গুলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। তবু পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী আরও কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, তা দেখা হচ্ছে।’’

প্রসঙ্গত ভাগাড় থেকে মরা জীবজন্তুর মাংস শহরের নানা কসাইখানা, রেস্তরাঁয় পাচারের অভিযোগ ওঠার পরেই শুক্রবার অভিযানে নেমেছিল কলকাতা পুরসভা। শনিবারও শিয়ালদহ চত্বরের একাধিক হোটেল, রেস্তরাঁ, বাজার ঘুরে দেখেন খাদ্য-সুরক্ষা অফিসারদের একটি দল। এ দিন শিয়ালদহ চত্বরের প্রায় ১৫টি হোটেল, রেস্তরাঁয় অভিযান চালান তাঁরা। সেগুলি থেকে কাঁচা মুরগির মাংস সংগ্রহ করা হয়। বৈঠকখানা বাজার, কোলে মার্কেটেও ঘুরে দেখেন অফিসারেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন