প্রতীকী ছবি।
দক্ষিণ শহরতলিতে দু’টি পৃথক ঘটনায় মঙ্গলবার জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোর এবং এক তরুণের। সাঁতার জানা ছিল না কারওরই।
একটি ঘটনা ঘটে বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার মজুমদার পুকুরে। ওই পুকুরে তলিয়ে গিয়ে মারা গিয়েছে ব্রহ্মপুর শেখপাড়ার বাসিন্দা, ১৫ বছরের তমসুর সর্দার। তার দাদা ইমতিয়াজ আলি জানিয়েছেন, এ দিন সকালে বেরোনোর আগে ভাই জানিয়েছিল, সে গাঙ্গুলিবাগানে সাঁতার শিখতে যাচ্ছে। কিন্তু, গাঙ্গুলিবাগানের বদলে তমসুর চলে যায় মজুমদার পুকুরে। স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই পুকুরের ঘাট খুব পিছল। ফলে দুর্ঘটনা লেগেই থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তমসুরের দুই বন্ধু সাঁতরে পুকুর পার হচ্ছিল। সে সময়ে তমসুর ঘাটে দাঁড়িয়ে ছিল। আচমকাই পা পিছলে সে পুকুরে পড়ে যায়। পুকুরে স্নান করতে আসা এক ব্যক্তি তমসুরকে উদ্ধার করেন। এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে ম়ৃত ঘোষণা করেন। তমসুরের এ বার মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল। ছেলেকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে তার মা বলেন, ‘‘গত তিন দিন ধরে সাঁতার শিখতে যাচ্ছিল। বারবার বলেছিলাম, যেখানেই সাঁতার কাটতে যাও, মজুমদার পুকুরে যেও না।’’
হরিদেবপুর থানা এলাকায় দ্বিতীয় ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ বছরের সায়ন কাঁড়ারের। তাঁর বাড়ি হাওড়ার ব্যাঁটরায়। স্কুল ছুটি থাকায় সায়ন গত ২৯ এপ্রিল রিজেন্ট পার্ক এলাকার ঘোষপাড়ায় মাসির বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে মাসির ১৩ বছরের ছেলে এবং তার কয়েক জন সমবয়সী বন্ধুদের সঙ্গে সায়ন পশ্চিম পুটিয়ারির তিন নম্বর পুকুরে আসেন। সাঁতার জানতেন না বলে প্রথমে পুকুরপাড়েই বসেছিলেন তিনি। কিন্তু, বাকিদের জলে নামতে দেখে তিনিও জলে নামতে যান। পুকুরে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তলিয়ে যান সায়ন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁর দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।