প্রতীকী ছবি।
পনেরো দিন পার করেও জল সরবরাহ স্বাভাবিক হল না দত্তাবাদের একটি অংশে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে জলের ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে পুরসভা। কিন্তু কবে সমস্যা মিটবে, তার সদুত্তর মেলেনি। তবে পুরসভার দাবি, কাজ চলছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।
দত্তাবাদের ওই ওয়ার্ডের কিছু অংশে বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ করা হয়। বাকি একাধিক জায়গায় রাস্তার ধারের কলের জলই ভরসা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কল থেকে সরু ফিতের মতো জল পড়ছে। অথচ জল নেওয়ার জন্য অসংখ্য লোক লাইনে ভিড় করছেন।
পুর প্রতিনিধি জানান, জলের ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে কিছুটা সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে। দত্তাবাদে তিন বেলা জল সরবরাহ করা হয়। দশ হাজারেরও মতো ঘর রয়েছে ওই ওয়ার্ডে। ফলে এমনিতেই ওই ওয়ার্ডে জলের চাহিদা বেশি। গরমে সেই চাহিদা আরও বেড়েছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিন বার জল সরবরাহ করার পরেও চাহিদা পুরোপুরি ভাবে মেটে না। সেখানে জলের ট্যাঙ্কার কিংবা কল থেকে সরু ফিতের মতো জলের জন্য খুবই দুর্ভোগ হচ্ছে তাঁদের।
দত্তাবাদের জলের সমস্যা অবশ্য নতুন নয়। পুর প্রতিনিধিদের দাবি, গত কয়েক বছর ধরে জলের সংযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। তিনটি অতিরিক্ত পাম্পও বসানো হয়েছে। তবে পুরোপুরি পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের পরিকল্পনা রয়েছে।
কিছু দিন আগে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে একটি পাম্পের বিপত্তির জেরে কয়েক দিন ধরে জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছিল। সেই পাম্প মেরামতির পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
পুরসভার এক আধিকারিক জানান, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। জল একেবারে নেই, এমনটা নয়। পাম্পে কিছু সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। কোথাও কোথাও জলস্তর নেমে গিয়েছে, কোথাও আবার কিছু কারিগরি ত্রুটি রয়েছে। সেগুলি মেরামতির পাশাপাশি, আরও অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পাম্প বসানোরও চিন্তাভাবনা চলছে।
বিধাননগর পুরসভার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সমস্যা। স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মল দত্ত জানান, ৩টি পাম্পের কিছু কারিগরি সমস্যা থেকে জল সরবরাহে ঘাটতি হচ্ছে। ওই ওয়ার্ডে মোট ৭টি পাড়ার পাঁচটিতেই জলের সমস্যা রয়েছে। তবে জলের ট্যাঙ্কার পাঠিয়ে আপাতত চাহিদা মতো জলের জোগান দেওয়া হচ্ছে।