ক্ষোভ: ভেঙে ফেলা হচ্ছে সেই ঠেক। নিজস্ব চিত্র
স্থানীয় বিধায়ক ও পুলিশের কাছে বারবার অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় এ বার এলাকার মহিলারাই একটি মদের ঠেক ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দিলেন।
বুধবার সকালে এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার নাজিরগঞ্জ থানা এলাকার পোদরায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে সাঁকরাইল কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক শীতল সর্দারের বাড়ির ঠিক উল্টো দিকেই পোদরার খেয়াঘাটের কাছে রাস্তার ধারেই একটি দরমা ঘেরা বাঁশ-টালির ঘরে মদের ঠেক গজিয়ে উঠেছিল। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রথম থেকেই ওই মদের ঠেক নিয়ে শীতলবাবু ও পুলিশকে তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছিল না। এলাকার বাসিন্দা মামণি আদক বলেন, ‘‘সারা দিন ওই মদের ঠেক চলত। এলাকার দুষ্কৃতীরা ওই জায়গায় জড়ো হয়ে মদ খেয়ে মহিলাদের নানা কটূক্তিও করত। আমরা বারবার বিধায়ক ও স্থানীয় নাজিরগঞ্জ থানায় জানিয়েছি। কেউ কিছু করেননি। তাই শেষে বাধ্য হয়েই ওই ঠেকটি সবাই মিলে ভেঙে দিলাম।’’
পুলিশ জানায়, এ দিন সকালেই এলাকার মহিলারা মদের ঠেকটিকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে ভাঙতে শুরু করেন। এলাকার কয়েক জন যুবকও তাঁদের ভাঙচুরে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন। শেষে পুরো ঘরটি ভেঙে দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। শীতলবাবুকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি। হাওড়া গ্রামীণ পুলিশের এক পদস্থ কর্তা ঘটনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, এতদিন থানা কেন মদের ঠেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।