Puja

অষ্টমীর অঞ্জলির সময়ে মণ্ডপে সর্বাধিক ক’জন, ভাবছে পুলিশ

তবে লালবাজার সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, যে কোনও মণ্ডপের বাইরে দূরত্ব-বিধি উড়িয়ে দর্শনার্থীরা বেশি ভিড় জমালে সেখানে প্রতিমা দর্শন বন্ধ করেদেওয়া হবে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২০ ০২:৫৪
Share:

এ বছরও কি অষ্টমীর অঞ্জলিতে এমন ভিড়ে ছাড় দেওয়া হবে, ভাবছে কলকাতা পুলিশ। 

করোনা অতিমারির সময়ে দুর্গাপুজোয় সংক্রমণ এড়াতে ইতিমধ্যেই কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন। কিন্তু ছোঁয়াচ এড়িয়ে অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়া হবে কী ভাবে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা নেই পুলিশ বা পুজো কমিটিগুলির কাছে। ফলে অষ্টমীর সকালে পুষ্পাঞ্জলি দিতে ছোট-বড় পুজো মণ্ডপে ভিড় জমলে কী করা হবে, তা নিয়ে এখনও কার্যত অন্ধকারে সকলেই।

Advertisement

কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ, পূর্ব এবং মধ্য কলকাতার কয়েকটি থানা ইতিমধ্যেই সেই এলাকার পুজো কমিটিগুলিকে জানিয়ে দিয়েছে যে, ছোট মণ্ডপের ভিতরে শারীরিক দূরত্ব-বিধি উড়িয়ে একসঙ্গে অনেকে মিলে অঞ্জলি দিতে পারবেন না। কয়েকটি থানা আবার সেখানকার পুজো কমিটিগুলির উপরেই সেই ভার ছেড়ে দিয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার একাধিক ছোট-বড় পুজো কমিটি জানিয়েছে, পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া নিয়ে পুলিশ কোনও নির্দেশ না দিলেও দূরত্ব-বিধি মেনেই পুজোর আচার-অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছে তারা। তবে লালবাজারের একটি সূত্র জানিয়েছে, ছোঁয়াচ এড়াতে অঞ্জলি দেওয়ার সময়ে পুজো মণ্ডপে আগত লোকের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে।

পুলিশের একাংশের মতে, অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার সময়ে ভিড় এড়ানো না গেলে সংক্রমিত হতে পারেন অনেকেই। তাই পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে থানার সমন্বয় বৈঠকে দূরত্ব-বিধি মেনে চলার

Advertisement

উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভিড় এড়াতে পুজো মণ্ডপের আশপাশে দোকান, মেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লালবাজারের তরফে পুজোর ক’দিন মণ্ডপে প্রতিমা দর্শনে আসা দর্শনার্থীদের লাইন করে দাঁড়ানোর জন্য গোল দাগ কেটে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে থানাগুলিকে। যদিও গণ্ডি কেটে দর্শনার্থীদের মণ্ডপে ঢোকাতে হলে তার লাইন বিশাল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যার ফলে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে আশঙ্কা পুলিশবাহিনীর একাংশের।

তবে লালবাজার সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, যে কোনও মণ্ডপের বাইরে দূরত্ব-বিধি উড়িয়ে দর্শনার্থীরা বেশি ভিড় জমালে সেখানে প্রতিমা দর্শন বন্ধ করেদেওয়া হবে। এক পুলিশকর্তা জানান, এ জন্য প্রতিটি পুজো মণ্ডপের বাইরে পর্যাপ্ত গার্ডরেল মজুত রাখতে বলা হয়েছে। যাতে প্রয়োজনের সময়ে দ্রুত মণ্ডপের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া যায়। এ জন্য বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সরকারি নির্দেশিকা মেনে পুজোমণ্ডপ তৈরি হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার গোটা শহরে ২০টি বড় মণ্ডপ ঘুরে দেখেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিংহ সরকারের নেতৃত্বে পুলিশের ওই দলটি এ দিন সকালে কুমোরটুলি পার্ক, কলেজ স্কোয়ার, একডালিয়া এভারগ্রিন, নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ, সুরুচি সঙ্ঘ, চেতলা অগ্রণী, বেহালা নতুন দলের পুজো মণ্ডপ পরিদর্শন করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সব মণ্ডপে কোভিড নির্দেশকা মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। এর পরে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে পুজো কমিটিগুলিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন