tallah

টালা থেকে নিখোঁজ মা-ছেলে উদ্ধার

স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে তরুণীকে তাঁর দিদির হাতে তুলে দেয় পুলিশ। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২০ ০২:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

লকডাউনের কারণে কাজে গিয়ে স্বামী আটকে পড়েছেন উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে গ্রামের বাড়িতে। কলকাতার টালা এলাকায় এক বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে তরুণী থাকছিলেন শ্বশুরবাড়িতেই। কিন্তু গত বুধবার সন্ধ্যায় ওষুধ কিনতে যাওয়ার নাম করে শ্বশুরবাড়ি থেকে সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। ঘটনার পরে রাতে তরুণীর দেওর টালা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। অপহরণের মামলা রুজু করে পুলিশ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করল ওই তরুণী ও তাঁর শিশুপুত্রকে। তরুণী শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে রাজি না হওয়ায়, তাঁর স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে তরুণীকে তাঁর দিদির হাতে তুলে দেয় পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানায়, তরুণী তাঁর মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন। ফলে কোনও রকম নেটওয়ার্ক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তরুণী এক বার ফোন চালু করলে তাঁর মোবাইলের নেটওয়ার্ক কখনও হাওড়া স্টেশনের বাইরে, কখনও বাবুঘাট দেখাচ্ছিল। পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে তরুণীর ছবি দেখিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে জানতে পারে, তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছেলেকে ঘাটে বসিয়ে গঙ্গার জলে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। ঘাটে থাকা লোকজন তাঁকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারকারীরা তাঁর বাড়ির ঠিকানা চাইলে তিনি শ্বশুরবাড়িতে ফিরবেন না জানিয়ে অন্যত্র চলে যান। এর পরে শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ রবীন্দ্র সরণি–তারাচাঁদ দত্ত রোডের মোড়ে তরুণীর মোবাইলের নেটওয়ার্ক পায় পুলিশ। তরুণীর দেওরকে নিয়ে সেখানে পৌঁছে পুলিশ দেখে, তরুণী তাঁর সন্তানকে নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দু’জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওই তরুণীকে তাঁর দিদির হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: কলকাতার একটি শিশু হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত দুই প্রসূতি

Advertisement

সোমবার সকাল থেকে ৪ দিন বন্ধ থাকবে করুণাময়ী সেতু

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন