শহরের স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থার পরিবর্তন

গাড়ির সংখ্যাও কম। কিন্তু তা-ও স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল চলার জন্য বারবার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছিল একটি গাড়ির চালককে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০২:৫৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

রবিবারের দুপুর। রাস্তা ফাঁকা।

Advertisement

গাড়ির সংখ্যাও কম। কিন্তু তা-ও স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল চলার জন্য বারবার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছিল একটি গাড়ির চালককে।

উপরের ঘটনাটি কয়েক মাস আগের। এ ভাবে ফাঁকা রাস্তায় সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশকর্মী, সকলেরই। শহরের সব সিগন্যাল স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় চলার জন্য রাস্তা ফাঁকা থাকলেও নির্দিষ্ট সময়ের আগে তা বদল করা যেত না। পুলিশ সূত্রের খবর, লালবাজারের নির্দেশে ওই ব্যবস্থার বদল ঘটেছে সম্প্রতি। এখন থেকে ফাঁকা রাস্তার সিগন্যালে আর দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। প্রয়োজন হলে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থার বদলে পুলিশকর্মীরাও ওই ব্যবস্থার অদলবদল করতে পারবেন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বছর তিনেক আগে লালবাজারের ট্র্যাফিক বিভাগের এক কর্তার নির্দেশে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল প্রক্রিয়া চালু করা হয়েছিল। প্রতিটি মোড়ের সিগন্যালের মধ্যে যাতে সমন্বয় থাকে, তেমন ব্যবস্থাই করা হয়েছিল এই প্রক্রিয়ায়। ট্র্যাফিক পুলিশের একাংশের দাবি, ওই ব্যবস্থার ফলে ছুটির দিনে কিংবা ফাঁকা রাস্তায় গাড়ির গতি বাধা পাচ্ছিল।

অহেতুক গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকছিল সিগন্যালে। সভা-সমাবেশ-মিছিলের জন্য রাস্তায় যানজট হলে লালবাজারের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুম থেকে অনুমতি নিয়ে কোনও এলাকার ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি-রা হাতে করে সিগন্যাল পরিবর্তন করার ব্যবস্থা করতেন। তবে তা হত সাময়িক। কোনও ট্র্যাফিক গার্ডের পক্ষে সিগন্যালের সময় পরিবর্তন করার ক্ষমতা ছিল না।

লালবাজার জানিয়েছে, গত মাস থেকে ওই ব্যবস্থার বদল করা হয়েছে। এখন প্রয়োজন মতো সিগন্যালের লাল-সবুজ বাতির সময় নিজেরাই বদলাতে পারছেন ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি কিংবা ট্র্যাফিক পুলিশের নির্দিষ্ট অফিসারেরা। ফলে এখন রাস্তায় গাড়ি না থাকলে অযথা কোনও গাড়িকে বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। কোনও রাস্তার মোড়ে যানজট থাকলে খুব সহজেই সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্র্যাফিক অফিসারেরা কয়েক মিনিটের মধ্যে সিগন্যাল বদল করতে পারবেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত শনিবার মাসিক রিভিউ বৈঠকে ট্র্যাফিক পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তারাও গার্ডের আধিকারিকদের ওই ব্যবস্থা মেনে চলার জন্য বলেছেন। এতে যেমন স্থানীয় ভাবে যানজট হলে তা সামাল দিতে পারবেন পুলিশকর্মীরা, তেমনই গাড়ির গতিও অহেতুক বাধা পাবে না।

ট্র্যাফিক পুলিশ জানায়, স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থায় গোল বাধছিল ছুটির দিন কিংবা শহরের কোথাও সভা-সমাবেশ থাকলে। এ ছাড়াও কোনও এলাকায় স্কুলের ছুটির সময়ে সাময়িক ভাবে সেখানে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। তাই সিগন্যাল ব্যবস্থার পরিবর্তন করার দাবি আসছিল ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের তরফে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement