দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাসটি। —নিজস্ব চিত্র।
তীব্র গতিতে চালাচ্ছিলেন। শেষে আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি চালক। তাই ফুটপাথেই উঠে পড়ল মিনিবাসটি। সোমবার দুপুরের ওই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন তিন জন। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসার জন্য আহতদের এসএসকেএম এবং মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই বাসটি বেশ জোরে বেহালা থেকে হাওড়া যাচ্ছিল। বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ বাসটি যখন বাবুঘাটের কাছাকাছি, উল্টো দিক থেকে আরও একটি বাস সামনে চলে আসে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি বাঁ দিকে ফুটপাথ সংলগ্ন একটি গাছে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে যায়। ওই ফুটপাথে গাছের নীচে ছিলেন এক ব্যক্তি। তাঁর দুটো পা বাসের চাকায় পিষে গিয়েছে। বাসের চালক পলাতক।
ওই বাসেই ছিলেন সায়নী মুখোপাধ্যায়। দুর্ঘটনায় তিনিও গুরুতর জখম হয়েছেন। তিনি জানান, প্রথম থেকেই চালক খুব জোরে চালাচ্ছিলেন। বার বার বারণ করা সত্ত্বেও যাত্রীদের কথা শুনছিলেন না। ঘটনার সময় আচমকা খুব জোরে একটা ঝাঁকুনি হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই যাত্রীরা সকলেই সামনের দিকে হুড়মুড়িয়ে পড়েন। বাসে ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁরা প্রত্যেকেই কম বেশি আহত হন।
আরও পড়ুন: অবরোধে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের রেল পরিষেবা, দুর্ভোগে যাত্রীরা