পুলিশ ও অভিযানকারীদের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তির জের।
কৃষক সভার নবান্ন অভিযান ঘিরে বৃহস্পতিবার অভিযানকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল গোটা ময়দান এলাকা এবং হাওড়ার ফোরশোর রোড। এদিন দুপুর থেকে মধ্য কলকাতার বিভিন্ন রাসতায় ব্যারিকেড তৈরি করেছিল পুলিশ। মেয়ো রোড, ডাফরিন রোড, রেড রোড এবং রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ বন্ধ করে রাখা হয়। এর ফলে এসএন ব্যানার্জি রোড, জওহরলালা নেহরু রোড, জগদীশ চন্দ্র বসু রোডের উপরে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। সব রাস্তাতেই সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে যানবাহন। পুলিশের ধারা ছিল, বেলা দুটোর মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। এদিকে, সাঁতরাগাছি থেকে আসা মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কোনা এক্সপ্রেসওয়ে। পুলিশ ও অভিযানকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির জেরে গোটা মধ্য কলকাতা অবরুদ্ধ হয়ে থাকে দীঘর্ক্ষণ।
এ দিন বেলা বাড়তেই পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইটবৃষ্টি শুরু করে অভিযানকারীরা। উল্টে ফেলে দেওয়া হয় পুলিশের ব্যারিকেড। এক সময়ে পিছু হটে যায় পুলিশ। পরে পুলিশের সংখ্যা বাড়ে। এরপরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের পাল্টা আক্রমণ করে। লাঠি চালিয়ে এবং পাল্টা ইট ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে পুলিশ। দুই পক্ষে হাতাহাতিও শুরু হয়ে যায়। দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু আহত হন।