কলকাতার কড়চা

প্রায় এক বিঘা এই জমির উপর বেশ কিছুকাল আগেই কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় দেশবন্ধু উদ্যান। পুরমাতা মালা রায় ব্যবস্থা করেছেন আলোকসজ্জার।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৭ ০০:০০
Share:

দেশবন্ধু স্মৃতি উদ্যান

Advertisement

স্বাধীনতার সাত দশক পূর্ণ হতে চলেছে। স্বাধীনতা আন্দোলনে যাঁরা লড়াই করেছেন, কলকাতা শহরের বুকে নানা ভাবে তাঁদের স্মৃতি রক্ষার উদ্যোগ বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে। বিপ্লবীদের মূর্তি স্থাপন, রাস্তার নামকরণ, তাঁদের স্মৃতিতে ভবন নির্মাণ, স্বাধীনতা আন্দোলন সংক্রান্ত সংগ্রহশালা, গ্রন্থপ্রকাশ— এমন নানা উদ্যোগ। তার মধ্যে সব থেকে চোখে পড়ার মতো বোধহয় কেওড়াতলার দেশবন্ধু স্মৃতি উদ্যান। ১৬ জুন ১৯২৫ মাত্র ৫৫ বছর বয়সে প্রয়াত হন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ। ত্রিশের দশকের গোড়ায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানের পাশে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে গড়ে তোলা হয় ৫৫ ফিট উঁচু স্মৃতিসৌধ। সামনেই চিত্তরঞ্জনের অর্ধাবয়ব শ্বেতপাথরের মূর্তি। আশি বছর ধরে এই প্রাঙ্গণে একের পর এক বিপ্লবী ও মনীষীর স্মরণে গড়ে উঠেছে নানা আকৃতির স্মারক, সংখ্যায় তা প্রায় ২৫। প্রায় এক বিঘা এই জমির উপর বেশ কিছুকাল আগেই কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে গড়ে তোলা হয় দেশবন্ধু উদ্যান। পুরমাতা মালা রায় ব্যবস্থা করেছেন আলোকসজ্জার। সামনের বাগানে যেমন রয়েছে শ্যামাপ্রসাদ, শরৎচন্দ্র বসু কি হেমচন্দ্র ঘোষের স্মারক, পিছনের বাগানে তেমনই যতীন দাস, বীরেন শাসমল, বাসন্তী দেবী ও আরও অনেকের স্মারক। প্রতি দিন সকালে ও বিকেলে জনসাধারণের জন্য এই স্মৃতিসৌধ উদ্যান খোলা থাকে। মাঝে মাঝে নজরে পড়ে বিপ্লবীদের জন্মদিন বা মৃত্যুদিনের স্মরণ অনুষ্ঠান। একই প্রাঙ্গণে এত জন বিপ্লবীর স্মারক নিতান্তই দুর্লভ। ছবিতে দেশবন্ধু স্মৃতিসৌধ ও উদ্যানের অন্যান্য স্মারক।

Advertisement

গুলজার

‘আমার দেখা সেরা বাঙালিদের মধ্যে একজন হল গুলজার। জন্মসূত্রে পঞ্জাবি তো কী হল? ও আমাদের।’ জানিয়েছেন তরুণ মজুমদার। আর বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত বলেছেন ‘ওর মতো মানুষ আমি পাইনি! পাইনি এমন আদ্যোপান্ত বাঙালিকেও, যে কিনা আসলে পঞ্জাবের লোক।’ সেই গুলজার কলকাতায় আসছেন আড্ডা দিতে, তাঁর দু’টি বাংলা বই প্রকাশ উপলক্ষে। গদ্যের বই পান্তাভাতে (ভাষান্তর: সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়), তাতে সরস স্মৃতি রোমন্থনে প্রায় প্রত্যেকেই বাঙালি... উত্তমকুমার, মহাশ্বেতা দেবী, সত্যজিৎ রায়, থেকে কিশোরকুমার, সুচিত্রা সেন। আর আছেন তরুণ মজুমদার, যাঁর সম্পর্কে লিখছেন গুলজার: ‘মালকোঁচা-মারা, মাড়-দেওয়া ধুতি পরার কায়দাটিও ওঁর থেকেই শেখা।’ বইটির শুরুতেই জানিয়েছেন ‘আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতি, যাঁর কবিতা বাংলা ভাষা, বাংলা সংস্কৃতিতে আমায় আকৃষ্ট করেছিল।’ পদ্যের বইটি প্লুটো (ভাষান্তর: শেখ সদর নইম)। দু’টি বই-ই দে’জ পাবলিশিং-এর, তাঁকে নিয়ে তাই তাদের আয়োজন: ‘গুফত্‌গু উইথ গুলজার’। নন্দনে ২৬ অগস্ট সন্ধে ৬টায়। বই দু’টি প্রকাশ করবেন শঙ্খ ঘোষ ও সন্দীপ রায়, আর গুলজারের সঙ্গে আড্ডা দেবেন শান্তনু মৈত্র ও শ্রীজাত। সেখানে তাঁকে নিয়ে চলবে একটি প্রদর্শনীও, ২৬-২৭ অগস্ট, ৪-৮টা।

স্বতন্ত্র ভাবনা

শুধু কমিক্‌স কিংবা গ্রাফিক আর্ট নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে পত্রিকা প্রকাশ করে স্বতন্ত্র ভাবনার পরিসর তৈরি করে চলেছে বিশ্বদেব গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত ‘কমিক্স ও গ্রাফিক্স’ (বুক ফার্ম) পত্রিকাটি। সাম্প্রতিক চতুর্থ সংখ্যাটিতে প্রায় পাতায়-পাতায় ছবি ও অলংকরণ। বিভূতিভূষণের পথের পাঁচালী নিয়ে শিল্পী গৌতম কর্মকারের গ্রাফিক নভেল, সাদাকালোর বিন্যাসে। প্রবন্ধাদির মধ্যে দেশি-বিদেশি কমিক্‌স-এর চরিত্র নিয়ে যেমন, তেমনই স্বদেশি আর আন্তর্জাতিক শিল্পীদের নিয়ে আলোচনা... চাচা চৌধুরী, বাঁটুল দি গ্রেট, জাদুকর ম্যানড্রেক-এর পাশাপাশি চণ্ডী লাহিড়ী, অহিভূষণ মালিক, ডন মার্টিন প্রমুখ। পাল্প কভার-এর চিত্রকলার আলোচনা, দুষ্প্রাপ্য বিদেশি কমিক্‌স-এর অনুবাদ। ১৯৬০-’৭০, এই স্বর্ণ সময়ে ছোটদের বাংলা পত্রিকার শিল্পীদের অ্যালবাম। সঙ্গে পুজোর উপহার ‘বিশ্বযুদ্ধ কমিক্‌স’। ২০ অগস্ট মোহিত মৈত্র মঞ্চে উদ্বোধন করবেন ব্রাত্য বসু ও সন্দীপ রায়। সঙ্গে তারই প্রচ্ছদ।

অজিতেশ মঞ্চ

বাগুইআটি-দমদম এলাকার পুরনো বাসিন্দারা এখনও এক মাস্টারমশাইয়ের কথা বলেন। বাইরের দুনিয়া অবশ্য তাঁকে চেনে নাট্যব্যক্তিত্ব হিসেবে। তিনি অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই অঞ্চল যখন ‘কলকাতা’ হয়ে ওঠেনি ঠিক তখন অজিতেশের প্রভাবেই সেখানে তৈরি হয় এক নাট্য-সংস্কৃতি। দক্ষিণ দমদম পুরসভা তাঁকে স্মরণ করল। গোরক্ষবাসী রোড টাউন হল সংস্কার করে নাম দেওয়া হল অজিতেশ মঞ্চ। গত মঙ্গলবার উদ্বোধন হল মঞ্চটি।

ষাটে সুন্দরম

সে দিনও এক ১৫ অগস্ট, খুব বৃষ্টি কলকাতায়। শ্যামবাজারের কফি হাউসে বসে স্কটিশ চার্চ কলেজের নাটকপাগল ক’জন তরুণ ঠিক করলেন, দল করবেন একটা। নাম ঠিক হল ‘সুন্দরম’। সে দিনের বন্ধুরা— পার্থপ্রতিম চৌধুরী, অতনু সর্বাধিকারী— আজ আর নেই, কিন্তু মনোজ মিত্রের সুন্দরম ষাট বছরে পা রাখছে এই ১৫ অগস্ট। সাজানো বাগান, শোভাযাত্রা, অলকানন্দার পুত্রকন্যা, পরবাস, যা নেই ভারতে, জাদুবংশ— সুন্দরমের প্রযোজনা মানেই মণিমানিক। ১৯৯২-এ দেশ পত্রিকার পুজো সংখ্যায় মনোজবাবু লিখেছিলেন ‘গল্প হেকিমসাহেব’, ’৯৪-এ মঞ্চে ইতিহাস গড়ে সেই নাটক, ন’মাসে শো হয়েছিল একশো! নাটক পড়ে এত ভাল লেগেছিল তপন সিংহের, নিজে গান লিখে আর সুর করে, হৈমন্তী শুক্লাকে দিয়ে রেকর্ডও করে দিয়েছিলেন নাটকের জন্য। খালেদ চৌধুরী, তাপস সেন-সহ বহু প্রবাদপ্রতিম মানুষের ছোঁয়া লেগে থাকা ‘গল্প হেকিমসাহেব’ সুন্দরমের জন্মদিনে আবারও অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে, ১৫ অগস্ট দুপুর ৩টে আর সন্ধে সাড়ে ৬টায়।

রবীন্দ্রলোক

জনাকয়েক রবীন্দ্র অনুরাগী ২০১২ সালে ক্ষয়িষ্ণু বঙ্গসংস্কৃতিকে পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে ‘রবীন্দ্রলোক’ বা রবীন্দ্র অনুসারী সংঘ স্থাপন করেন। প্রতি মাসে এক দিন করে এ পর্যন্ত ৪৮টি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে সভাপতি, সম্পাদক, সভ্য— এ সবের কিছুই বালাই নেই, সবাই সব। গত বছর থেকে যাঁরা রবীন্দ্র ভাবনায় নিয়োজিত তাঁদের থেকে এক জন বা দু’জনকে ‘রবীন্দ্রলোক’ সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে। প্রতি বছর অগস্ট মাসে বার্ষিক উৎসব পালন করা হয়। এ বছর ১৮ অগস্ট, সন্ধে ৬টায় পঞ্চম বর্ষে পদার্পণ উৎসব উপলক্ষে বিড়লা অ্যাকাডেমি সভাগৃহে ত্রিপুরার প্রখ্যাত কবি তথা রবীন্দ্রপ্রেমী চন্দ্রকান্ত মুড়াসিংহ এবং রবীন্দ্র গবেষক ও লেখক অমিত দাসকে ‘রবীন্দ্রলোক’ সম্মানে ভূষিত করা হবে। সঙ্গে এক বিশেষ নৃত্যনাট্য ও তোতা কাহিনির নাট্যরূপ মঞ্চস্থ হবে।

যোজক

হরিমাধব মুখোপাধ্যায়ের নাটক ‘অন্তর্ধান’ দিয়ে যোজক নাট্যগোষ্ঠীর যাত্রা শুরু। তার পর একে একে শেখর সমাদ্দারের ‘ফিরিঙ্গি কবিয়াল’, চিত্র পরিচালক গৌতম হালদারের নির্দেশনায় সিনেমা ও থিয়েটার মিশ্রিত সিনে প্লে ‘নষ্টনীড়’, উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘এ আবরণ’ ও ‘দাদাঠাকুর’ সারা ভারতে অভিনীত এবং প্রশংসিত হয়। এ বার তাদেরই ১০ম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে ১৫ অগস্ট, তপন থিয়েটারে ‘সারাদিন যোজক’ শীর্ষক এক নাট্যোৎসবের আয়োজন হয়েছে। উপস্থিত থাকবেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দেবশঙ্কর হালদার প্রমুখ। উৎসবে তিনটি নাটক মঞ্চস্থ হবে— সকাল ১০টায় যোজকের প্রাণপুরুষ দুলাল লাহিড়ী নির্দেশিত ও অভিনীত ‘আবিষ্কার’, দুপুর ৩টেয় ‘দাদাঠাকুর’। মুখ্য ভূমিকায় রজত গঙ্গোপাধ্যায়। এবং সন্ধে সাড়ে ৬টায় দুলাল লাহিড়ী অভিনীত ‘সাঁঝবেলার আলো’।

স্বাধীনতা

দেশ স্বাধীন হওয়ার বিশ বছর বাদে, ১৯৬৭-তে ‘আই অ্যাম টয়েন্টি’ নামে একটি ছকভাঙা ছবি করেছিলেন এসএনএস শাস্ত্রী। এখন সেই ছবিরই বয়স হল পঞ্চাশ। এম এস সথ্যু ‘গরম হাওয়া’ করেছিলেন অস্থির সত্তরে দাঁড়িয়ে। আর অশীতিপর কেন লোচ ‘আই, ড্যানিয়েল ব্লেক’ বানিয়ে কান-লোকার্নো জয় করেছেন গত বছর। হালে কাশ্মীরে তৈরি হয়েছে ছোট ছবি ‘ইন দ্য শেড অব ফলেন চিনার’, ইরানে ‘ম্যানাসক্রিপ্টস ডোন্ট বার্ন’, বাংলাদেশে তারেক ও ক্যাথরিন মাসুদের ‘মুক্তির গান’। ভিন্ন দেশ-কালে তৈরি এই সব ছবির মূল সুর এক— স্বাধীনতা বা মুক্তির ধারণাকে নানা দিক নানা তল থেকে খুঁটিয়ে দেখা। ১৫ অগস্ট যোগেশ মাইম অ্যাকাডেমিতে ‘ফ্রেমস অব ফ্রিডম’ চলচ্চিত্র উৎসবে দিনভর ছবিগুলি দেখাবে পিপলস ফিল্ম কালেকটিভ। ভারতীয় সিনেমায় সেন্সরশিপ নিয়ে কথা বলবেন সোমেশ্বর ভৌমিক।

মজলিশ

নেদারল্যান্ডস ও কলকাতার কিছু নাট্যপ্রেমী মানুষের যৌথ উদ্যোগে ২০১৬ সালে সূচনা হয় ইন্দো-ডাচ নাট্যগোষ্ঠী ‘মজলিশ’-এর। বিভিন্ন পেশায় যুক্ত মানুষজন তাঁদের ব্যস্ত সময়ের মধ্যে থেকেও নাটকের প্রতি ভালবাসার টানে গড়ে তোলেন এই দল। কলকাতা এবং নেদারল্যান্ডস ছাড়াও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলা নাটককে মঞ্চস্থ করার মধ্যে দিয়ে এক সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন ঘটানোই এর মূল লক্ষ্য। মজলিশ-এর এ বারের নিবেদন প্রাণেশ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশনায় মনোজ মিত্র-র হাস্যরসাত্মক নাটক ‘মুন্নি ও সাত চৌকিদার’ মঞ্চস্থ হবে জ্ঞান মঞ্চে, ১৪ অগস্ট, সন্ধে সাড়ে ৬ টায়। সঙ্গে তারই একটি দৃশ্য।

দেড় দশক

মাত্র পনেরো বছর আগে তৈরি হয়েছিল যে প্রতিষ্ঠানটি, সেখানে ঘুরে গিয়েছেন তিন জন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। কারণ, সময়ের হিসেবে নয়, ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ কলকাতা-র গুরুত্ব তৈরি হয়েছে তার বৌদ্ধিক বৈশিষ্ট্যে। দেড় দশক পূর্তির উদ্‌যাপনেও ছাপ রয়েছে সেই বিশিষ্টতার। ১৬ অগস্ট বিকেল চারটেয় গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাকের বক্তৃতা। বিষয়, এক জন বিস্মৃতপ্রায় আফ্রিকান-আমেরিকান চিন্তাবিদ ডব্লিউ ই বি ডু বয়েজ। উনিশ শতকের আমেরিকায় জন্মে প্রায় সারা জীবন কালো মানুষদের সমানাধিকারের জন্যে লড়ে শেষ জীবনে ঘানায় চলে গিয়েছিলেন ডু বয়েজ। ঘানা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হয়ে সেখানেই থেকে গেলেন ১৯৬৩-তে মৃত্যু পর্যন্ত। ডু বয়েজ-এর লেখাপত্র থেকে গায়ত্রী খুঁজবেন উত্তর-ঔপনিবেশিক এবং ‘প্যান-আফ্রিকানিজম’ চিন্তাধারার চিহ্নগুলি।

প্রতিবেশীকে চিনুন

বিশ্বভারতী পরিষদে ১৩৩২ বঙ্গাব্দে এক বক্তৃতায় হিন্দু মুসলমানের বিরোধ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘যে অন্ধকারে ভারতবর্ষে আমরা পরস্পরকে ভালো দেখতে পাইনে সেইটেই আমাদের সকলের চেয়ে দুর্বলতার কারণ।’ কবি যথার্থই মনে করতেন এই বিরোধ দূর হতে পারে উভয়ের মেলামেশা চেনাজানার মধ্যে দিয়ে। প্রায় একশো বছর পরেও পরিচয়হীনতার সে অন্ধকার কাটেনি বরং বেড়েছে। আজ দেশের ঘোর দুর্দিনে চেনাজানার সেই রকম একটি প্রয়াস ‘প্রতিবেশীকে চিনুন’। ওরা নিকটতম প্রতিবেশী হিন্দু মুসলমানে মেলামেশার সুযোগ করে দিচ্ছে প্রায় নিয়মিত। মোমিনপুর, খিদিরপুর, পার্ক সার্কাস ছাড়া আসানসোলেও পৌঁছেছে এই প্রয়াস। ১৮ অগস্ট বিকেল ৫টায় গড়ফায় প্রতাপগড় প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গণে বসছে মিলনানুষ্ঠান। মূলত শহরাঞ্চলে যেখানে অপরিচয় আর ভুল বোঝাবুঝি সবচেয়ে বেশি সেই সব মহল্লায় পৌঁছতে চায় ‘প্রতিবেশীকে চিনুন’ প্রয়াসীরা— দ্রুত, এখনই। যোগাযোগ: সাবির ৯৮৩১১৩২৬৯৭, সুমন ৯৮৩০০১০৯৬৩।

পরিচালক

ছেলেবেলা থেকেই সিনেমা দেখতে পছন্দ করতেন। তবে আলাদা করে সিনেমার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছিল যখন টেলিভিশন এল। ‘তখন টেলিভিশন জিনিসটা আমার কাছে এক বিস্ময়! একটা বাক্স। তার ভিতর থেকে ছবি! আমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ‘হাঁস-মুরগি পালন’ থেকে শুরু করে ভাল ভাল সিনেমা সব দেখতাম। সিনেমা নিয়ে আরও কিছু জানা, পড়ার জন্য ‘চিত্রবাণী’ লাইব্রেরির মেম্বারও হয়েছিলাম।’ বলছিলেন পরিচালক অনীক দত্ত। তিনি মনে করেন, সত্যজিৎ রায়ের বানানো সিনেমাও কিন্তু তাঁকে চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রভূত উৎসাহ জুগিয়েছিল। পাঠভবন, সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনী, ইকনমিক্সের ছাত্রটি ছবি আঁকাতেও ছিলেন তুখড়। কলেজ থেকে বেরিয়ে অ্যামেচার ইংরেজি এবং বাংলা নাটকে অভিনয় ও নির্দেশনায় মনোনিবেশ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিধি বাম! বাধ্য হন পারিবারিক ব্যবসা দেখভালে। এর পর বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করার সুযোগ আসে অডিয়ো ভিজুয়াল ডিপার্টমেন্টে। বছর দুয়েক পরে চাকরি ছেড়ে কর্পোরেট ছবি এবং টেলিভিশন কমার্শিয়াল তৈরির কাজে মন দেন। সেখান থেকেই ধীরে ধীর ছবি বানাতে শুরু করেন। বড় পরদায় তাঁর প্রথম ছবি ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ নিয়ে বাঙালি আজও বুঁদ হয়ে আছে। দ্বিতীয় ছবি ‘আশ্চর্য প্রদীপ’ও যথেষ্ট সমাদৃত। সম্প্রতি তাঁর তৃতীয় মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা ছবি ‘মেঘনাদবধ রহস্য’ কতটা সাড়া ফেলবে, এখন সেটাই দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন