বহুতলে আগুন, বিকল নির্বাপণ ব্যবস্থা

বিপদঘণ্টি বাজেনি। তাই বহুতল বাণিজ্যিক বাড়িটির একতলার ‘ইলেকট্রিক রুমে’ যে আগুন লেগেছে, তা প্রথমে বুঝতে পারেননি সেখানকার লোকজন। কিন্তু হুঁশ ফিরল যখন লোকজন ‘আগুন’, ‘আগুন’ বলে চিৎকার জুড়ে দিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

গলগলিয়ে: তপসিয়ার ওই বহুতল থেকে বেরোচ্ছে ধোঁয়া। নিজস্ব চিত্র

বিপদঘণ্টি বাজেনি। তাই বহুতল বাণিজ্যিক বাড়িটির একতলার ‘ইলেকট্রিক রুমে’ যে আগুন লেগেছে, তা প্রথমে বুঝতে পারেননি সেখানকার লোকজন। কিন্তু হুঁশ ফিরল যখন লোকজন ‘আগুন’, ‘আগুন’ বলে চিৎকার জুড়ে দিয়েছেন। তপসিয়ায় একটি বাণিজ্যিক বহুতলে মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। তবে আগুন লাগার কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকে নিজেদের কাজের জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসার আগে পর্যন্ত আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠায় ভুগলেন সকলেই। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আধ ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে ফেলে। তবে গোটা বাড়িটিতে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা থেকেও কোনও কাজে আসেনি বলেই অভিযোগ দমকলকর্মীদের।

Advertisement

কেন? বাড়িটির কেয়ারটেকার নিজেই জানিয়েছেন, ফায়ার লাইসেন্স ছিল না। কয়েক বছর আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। ফলে বাড়িটিতে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা মজুত থাকলেও তা ছিল নিস্ক্রিয়। কেয়ারটেকার সরোজ রায়ের কথায়, ‘‘লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকার সব বহুতলের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে।

মঙ্গলবার সকাল সওয়া ১১ টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। প্রতক্ষ্যদর্শী দীপক পালের কথায়, ‘‘কালো ধোঁয়ার মধ্যেই ভিতরে বিস্ফোরণ হচ্ছিল।’’

Advertisement

আগুন এবং পরে বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়ায় সেখানকার অফিস কর্মীদের মধ্যে। আতঙ্কে তড়িঘ়ড়ি লোকজন বহুতলটি ছেড়ে একতলায় নেমে আসেন। তপসিয়ার পার্ক সার্কাস কানেক্টর সংলগ্ন ওই সাততলা বিশিষ্ট বহুতলটিতে সাতটি বিভিন্ন ধরনের অফিস রয়েছে। একতলায় রয়েছে আসবাবপত্রের একটি শোরুম। বহুতলটির পাশেই রয়েছে ওই ঘরটি। যেটির ভিতরে বিদ্যুতের মিটার, এমসিবি সহ বহুতলটির বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের যাবতীয় সরঞ্জাম রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই ওই ঘরে প্রথমে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে গিয়ে সিইএসসির কর্মীরা বহুতলটির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

বহুতলটির কমপ্লেক্সে থাকা লোকজন এ দিন সকালে চা খেতে যাওয়ার সময় ওই ইলেকট্রিক রুম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। নিরাপত্তারক্ষীরা দমকলে খবর দেন। ঘটনা সময় উপস্থিত আবুল নামে জনৈক গাড়িচালকের কথায়, ‘‘সওয়া ১১টা নাগাদ কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ঘরের গ্রিলের দরজার ভিতর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। দ্রুত বহুতলের পিছন দিক কালো ধোঁয়ায় ভরে যায়। আমরা বহুতলের কেয়ারটেকার এবং নিরাপত্তারক্ষীদের জানাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন