কমিশনের ‘তাড়া’, দাগিদের ধরতে তৎপর লালবাজার

পুলিশের একাংশের বক্তব্য, গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং হুলিয়া জারির বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:০৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

দাগিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি এবং তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কি না, থানাগুলির কাছে তা জানতে চাইল লালবাজার। জমে থাকা জামিন-অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করার ব্যাপারেও জোর দিতে বলা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি। লোকসভা ভোটের আগে এই তৎপরতা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এর পিছনে পুলিশেরই একাংশ নির্বাচন কমিশনের তাগাদার কথা বলছেন।

Advertisement

পুলিশের একাংশের বক্তব্য, গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে গ্রেফতারি পরোয়ানা এবং হুলিয়া জারির বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু তার নির্দিষ্ট উত্তর রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা দিতে পারেননি। তবে কমিশনকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, দ্রুত এ ব্যাপারে সব তথ্য জানানো হবে। ঘটনাচক্রে, তার পরেই ওই নির্দেশ নিচুস্তরে যাওয়ার ফলে কমিশনের তাগাদার তত্ত্ব আরও জোরালো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা ভোটের আগেও তৎপর হয়েছিল পুলিশ। কলকাতা এবং শহরতলির বহু দাগিকেই হাজতে পোরা হয়। কিছু অপরাধী এলাকাছাড়া হয়ে গিয়েছিল। এ ব্যাপারেও তাই প্রশ্ন ওঠায় রাজ্য পুলিশের এক কর্তা জানান, এ নিয়ে আবেদন করা হয়েছে। নির্দিষ্ট তথ্য শীঘ্রই জানানো হবে। ভোটে হাঙ্গামা বাধানোর মামলার কথাও জানতে চেয়েছিল কমিশন। সেই রিপোর্টও পরে পাঠানো হবে বলে পুলিশের খবর।

Advertisement

লালবাজারের একাংশ বলছে, ভোটের আগে প্রতিবারই গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকর করা হয়। এ বারেও সেই তালিকা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই অভিযোগ করেন, পরোয়ানা কার্যকর করার ক্ষেত্রে পুলিশের একাংশ গড়িমসি করে। তার ফলে বেশ কিছু দুষ্কৃতী ছাড় পেয়ে যায়। কিছু দুষ্কৃতী আত্মগোপন করে থাকায় ‘গ্রেফতার করা যায় না’। কিন্তু ভোটের দিন সেই সব দুষ্কৃতীকে প্রকাশ্যে দেখা যায় বলেও অভিযোগ ওঠে। সেই সব ক্ষেত্রে এ বার কমিশন হুলিয়া জারি করে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিতে পারে বলে মনে করছে পুলিশের একাংশ। এক পুলিশকর্তার মতে, ‘‘এ ব্যাপারে খুঁটিনাটি তথ্য হাতে নিয়েই কমিশন নেমেছে বলে মনে হচ্ছে।’’

কলকাতা পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে খুঁটিনাটি প্রশ্ন করবে বলেই শীর্ষ কর্তারা সব তথ্য সবিস্তার চেয়েছেন। কমিশনের কাছে সেই সব তথ্য সবিস্তার দেবে বলেই লালবাজার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন