Lalbazar

বিদেশে বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু, তদন্তে লালবাজার

লালবাজার সূত্রের খবর, হাওড়ার নিশ্চিন্দার বাসিন্দা রেখারানি নন্দী জানান, ২০১৬ সালে তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বিয়ে হয় বাঘা যতীনের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২১ ০৪:৪৫
Share:

ফাইল চিত্র।

মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল বিদেশের মাটিতে। কিন্তু মৃতার মা কলকাতায় অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি চেয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পরে যাদবপুর থানা ওই ঘটনায় একটি খুনের মামলা রুজু করেছে। এমন ঘটনা বেনজির বলেই জানাচ্ছে পুলিশের একাংশ।

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, হাওড়ার নিশ্চিন্দার বাসিন্দা রেখারানি নন্দী জানান, ২০১৬ সালে তাঁর মেয়ে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে বিয়ে হয় বাঘা যতীনের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে স্বামী-স্ত্রী ইন্দোনেশিয়ায় বেড়াতে যান। তার পরে রেখাদেবী জানতে পারেন, ৬ ডিসেম্বর বালিতে স্কুটার দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁকে প্রথমে সেখানকার সাংহাই সাধারণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরের দিন তাঁকে অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৮ ডিসেম্বর সেখানেই প্রিয়াঙ্কা মারা যান। এর পরেই রেখাদেবী অভিযোগ করেন, মেয়ের উপরে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন করা হত। মেয়ের কী ভাবে মৃত্যু হল, তা নিয়েও তিনি ঠিক তথ্য পাননি বলে অভিযোগ। রেখাদেবী আদালতে মেয়ের স্বামী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি চান।

আদালতের নির্দেশে গত ২৫ ডিসেম্বর যাদবপুর থানা প্রিয়াঙ্কার স্বামী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ধারা ছাড়াও নির্যাতন, সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক ধারা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তে নেমে ইন্দোনেশিয়ার পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় লেখা ময়না-তদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, শরীরের শিরা-উপশিরার ভিতরে রক্ত জমাট বেঁধে প্রিয়াঙ্কার মৃত্যু হয়েছে। এমনটা দুর্ঘটনা থেকে হতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

অন্য দিকে, মামলা রুজু করা হলেও বিদেশে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত কলকাতা পুলিশ করতে পারে কি না, তা নিয়ে শুক্রবার পুলিশ কমিশনারের মাসিক ক্রাইম বৈঠকে আলোচনা হয়। সেখানে বিভিন্ন অফিসার নিজের মতামত জানান। কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির তিন এবং চার নম্বর ধারায় বিদেশে মৃত্যু হলেও এ দেশের পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত করতে পারে।

লালবাজার জানিয়েছে, ওই ঘটনায় পুলিশকে সব রকম সাহায্য করছে গোয়েন্দা বিভাগ। প্রয়োজনে বিদেশ মন্ত্রকের সাহায্য নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন