নিউ টাউনের মহিষবাথান এলাকার এক বাসিন্দা তাঁর কেনা জমি অধিগ্রহণ করার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার জেরে আটকে গিয়েছে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের কাজ। বৃহস্পতিবার বিচারপতি হরিশ টন্ডন জানিয়ে দিলেন, ওই জমি অধিগ্রহণ বৈধ। তবে ওই জমিতে যে বাড়ি তৈরি হয়েছে, তা ভাঙা হলে ক্ষতিপূরণ পেতে আবেদন জানানো যেতে পারে জমি ট্রাইব্যুনালে। সূত্রের খবর, ওই রায়ের পরে রাতেই বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।
হাইকোর্টে মামলাটি যিনি করেছিলেন, তাঁর নাম কাবেরী হাজরা। তাঁর আইনজীবী আশিস সান্যাল ও সুমিতাভ চক্রবর্তী জানান, তাঁদের মক্কেল ১৯৯০ সালে মহিষগোট মৌজায় ১.১২ একর জমি কেনেন। রাজ্য ১৯৯৭ সালে জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, নিউ টাউনে স্যাটেলাইট টাউনশিপের রাস্তা তৈরির জন্য ওই জমি প্রয়োজন। ১৯৯৫ সালে অধিগ্রহণের চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। কিন্তু ইতিমধ্যে ওই জমির চরিত্র বদলের অনুমতি পেয়ে চারতলা বাড়ি তৈরি করে ফেলেছেন কাবেরীদেবী। ২০১৫ সালে রাজ্য ফের একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলে, ওই বাড়ি ভেঙে ফেলতে হবে।
আইনজীবীরা জানান, সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে জমি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই মহিলা। ট্রাইব্যুনালও জানিয়ে দেয়, বাড়ি ভাঙতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করা হয়। মে মাসে হাইকোর্টের বিচারপতি প্রতীকপ্রকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে শুনানি হয়। বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায় জমি অধিগ্রহণের উপরে স্থগিতাদেশ দেন। পরে শুনানি হয় বিচারপতি টন্ডনের এজলাসে। কিছু দিন আগে মামলার শুনানি শেষ হয়। এ দিন রায় ঘোষণা হয়।