জট কাটল দক্ষিণেশ্বর মেট্রোর

অবশেষে কাটল নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো সম্প্রসারণ প্রকল্পের জমিজট। রেলের দাবি, ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে কাজও।ছ’বছর ধরে এই প্রকল্পে বরাহনগর ও কামারহাটি পুর এলাকা মিলিয়ে মাত্র ৬০০ মিটার অংশের কাজ আটকে ছিল। সমস্যা ছিল, রেলের জমিতে জবরদখল নিয়ে।

Advertisement

শান্তনু ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৭ ০২:০৬
Share:

বাধা: এই ঝুপড়ির জন্যই আটকে ছিল কাজ। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়

অবশেষে কাটল নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো সম্প্রসারণ প্রকল্পের জমিজট। রেলের দাবি, ২০১৮ সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে কাজও।

Advertisement

ছ’বছর ধরে এই প্রকল্পে বরাহনগর ও কামারহাটি পুর এলাকা মিলিয়ে মাত্র ৬০০ মিটার অংশের কাজ আটকে ছিল। সমস্যা ছিল, রেলের জমিতে জবরদখল নিয়ে।

বরাহনগরের জমিজট মিটেছে কয়েক মাস আগেই। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ১৫০টি পরিবারকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। এ বার কামারহাটিতেও মিটল সমস্যা। দুই পুরসভার দাবি, সম্প্রসারণে জমির সমস্যা আর নেই।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময়ে দমদম থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার সম্প্রসারণের কাজ এগিয়েছিল। ২০১৩ সালে দমদম থেকে নোয়াপাড়া আংশিক ভাবে মেট্রো চলতে শুরু করে। কিন্তু নোয়াপাড়া-দক্ষিণেশ্বর মেট্রো সম্প্রসারণে দেখা দেয় জমি সমস্যা। মেট্রো কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, বরাহনগর ও কামারহাটি পুর এলাকার অন্তর্গত রাজীবনগরে এই সমস্যা ছিল। বরাহনগরের দিকে ২৫০ মিটার এবং কামারহাটিতে ৩৫০ মিটার অংশ জবরদখল থাকায় সেখানে
কাজ এগোয়নি।

এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা আরভিএনএল-এর এক আধিকারিক জানান, গত অক্টোবরে বরাহনগর পুরসভার তরফে জমি পাওয়ার পরেই ২৫০ মিটার অংশের কাজ শুরু হয়েছে। কামারহাটি পুরসভার তরফে জমি না পাওয়ায় ৩৫০ মিটার অংশে কাজ আটকে ছিল।

আরও পড়ুন: সেই রাতে বিক্রমকে মদ্যপান করতে দেখেছিলেন অনেকেই?

কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা জানান, বছর খানেক আগে বেলঘরিয়ার আদর্শনগরে ৮৭ কাঠা জমি রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হয়। কাজ শুরু হতেই স্থানীয়েরা সেই জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। কলকাতা হাইকোর্ট কাজে স্থগিতাদেশ জারি করে। ফলে জমিজট কাটানো যায়নি। তবে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু রাজ্যের বিভিন্ন রেলপ্রকল্প রূপায়ণে জমির সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে আলোচনা করেন। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী জমিজট কাটাতে নির্দেশ দেন। কয়েক দিন আগে বিমানবন্দরের কাছে এক অনুষ্ঠানে গোপালবাবুকে দ্রুত জমিজট কাটানোর নির্দেশ দেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

গোপালবাবু জানান, দক্ষিণেশ্বরে কেএমডিএ-এর প্রায় ১২৫ কাঠা জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজীবনগরের ২০২টি পরিবারকে এখানে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। সেই কাজে খরচ হবে ৬ কোটি টাকা। পুনর্বাসনের কাজ শুরুর জন্য ডিপিআর তৈরি হচ্ছে।

স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ গণ জানান, ছ’-সাত মাসের মধ্যে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শেষ করে রাজীবনগরের জমি রেলকে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘আশা করি এর পরে রাজীবনগরের বাসিন্দারা জমি খালি করতে আপত্তি করবেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন