Chitpur

আপাতত হোমেই ঠাঁই মা-বাবাকে হারানো কিশোরীর

গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় লক্ষ্মী সরকার নামে ওই কিশোরীর মা মুন্নিদেবীর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২১ ০৫:১৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

কোনও দূর সম্পর্কের আত্মীয় বা প্রতিবেশী নন, সোমবার সরকারি হোমেই পাঠানো হল পাঁচ মাসের ব্যবধানে বাবা-মাকে হারানো, চিৎপুরের কিশোরীকে। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই কিশোরীর মায়ের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি তার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এর পরে সেই তথ্য রিপোর্ট আকারে ‘চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি’ (সিডব্লিউসি)-র কাছে পাঠানো হবে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিডব্লিউসি সিদ্ধান্ত নেবে কিশোরীর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে।

Advertisement

গত ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় লক্ষ্মী সরকার নামে ওই কিশোরীর মা মুন্নিদেবীর। ওই হাসপাতালের অস্থায়ী আয়া মুন্নিদেবী কাজে যাওয়ার সময়ে দুর্ঘটনায় পড়েন। জানা যায়, সদ্য মা হারানো মেয়ের বাবারও মৃত্যু হয়েছিল ঠিক পাঁচ মাস আগে। অভিভাবকহীন ওই কিশোরী প্রতিবেশীদের কাছেই ছিল। যদিও ইতিমধ্যেই অনেকে তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য চিৎপুর থানার দ্বারস্থ হন। এঁদের মধ্যে বিশিষ্ট শিশুরোগ চিকিৎসক যেমন রয়েছেন, তেমনই আছেন একাধিক সরকারি কলেজ-স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন ওই কিশোরীকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সামনে পেশ করে পুলিশ। সিডব্লিউসি-র চেয়ারপার্সন মহুয়া শূর রায় বলেন, ‘‘মেয়েটির সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। ওর যা ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়। তবে ওর ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’’ এর পরে তাঁর মন্তব্য, ‘‘অনেকেই ওর দায়িত্ব নিতে চাইছেন। প্রতিবেশীদের পাশাপাশি অনেকেই এসেছিলেন এ দিন। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে, ওকে আপাতত হোমেই রাখা উচিত। পরবর্তী পরিস্থিতিতে দত্তক বা সেই সংক্রান্ত বিষয়ে ভাবা হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন