হেলে পড়া সেই বাড়ি (বাঁ দিকে)। —নিজস্ব চিত্র
একে নিয়ম মেনে তৈরি হয়নি। তার উপর ভিত দুর্বল। তাই তিলজলার শিবতলা লেনের হেলে পড়া বাড়িটি ভেঙে ফেলতে হবে। এমনই সুপারিশ করে রিপোর্ট দিলেন কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররা। যদিও বাড়িটি ভেঙে ফেলার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি পুর কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরেই তিলজলার শিবতলা লেনের ১২/১১ নম্বর পাঁচতলা বাড়িটি হেলে রয়েছে পাশের ১২/১২ নম্বর পাঁচতলা বাড়িটির সঙ্গে। কিন্তু সেই খবর সামনে আসে বুধবার সন্ধ্যায়। তারপরই পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিল দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দু’টি বাড়িই খালি করে দেন। বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খবর সামনে আসার পর থেকেই কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররাও দফায় দফায় বাড়িটির প্ল্যান, কাঠামো, ভিত-সহ যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখেন। এরপরই শুক্রবার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রিপোর্ট জমা দেন তাঁরা। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বাড়িটি পুরসভার সব নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়নি। তার উপর ভিতও মজবুত নয়। তাই বিপদের আশঙ্কা করেই ওই বাড়ি ভেঙে ফেলা প্রয়োজন। তবে রিপোর্ট মেনে বাড়িটি ভেঙে ফেলা হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
আরও পডু়ন: কালীপুজোর চাঁদা ৪০ হাজার! দিতে না চাওয়ায় ১০ দোকানে তালা পড়ল দমদমে
আরও পড়ুন: ৪ জনের শরীরে বেঁচে থাকবেন তেইশের এই যুবক!
অন্যদিকে বাড়িটি ভেঙে ফেলায় আপত্তি জানিয়েছেন ওই বাড়ির আবাসিকরা। হেলে পড়া বাড়িটিতে ২৩টি পরিবারের বসবাস ছিল। যে বাড়িটির গায়ে হেলে পড়েছে, সেটিতে থাকত আরও ১০টি পরিবার। হেলে পড়া বাড়ির বাসিন্দাদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িটি হেলে রয়েছে। ঝুঁকি থাকলেও আশ্রয়হীন হয়ে পড়ার চেয়ে ওই বাড়িতেই থাকতে চান তাঁরা।