হাজরা মোড়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ নদিয়ার কালীগঞ্জের সেই তমন্নার মায়ের। —নিজস্ব চিত্র।
ডাক দেওয়া হয়েছিল কালীঘাট অভিযানের। কিন্তু মিছিল করে এক ইঞ্চিও এগোতে পারলেন না বিক্ষোভাকারীরা। পুলিশের বাধা পেয়ে শেষমেশ হাজরা মোড়েই আড়াই ঘণ্টার অবস্থান বিক্ষোভ করল অভয়া মঞ্চ।
শনিবার সকালে নির্যাতিতার মা-বাবার ডাকে নবান্ন অভিযানের পর বিকেল ‘কালীঘাট চলো’ অভিযানের ডাক দিয়েছিল অভয়া মঞ্চ। কিন্তু শুক্রবারই কলকাতা পুলিশ জানিয়েছিল, তারা কালীঘাট অভিযানের অনুমতি দেয়নি। ওই কর্মসূচি করা যাবে না। প্রতিবাদের জন্য আয়োজকদের বিকল্প জায়গাও বলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
তা সত্ত্বেও শনিবার বিকেল ৪টে থেকে হাজরা মোড়ে জমায়েত শুরু হয়। মানস গুমটা, উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কিছু সিনিয়র চিকৎসকেরা ছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন বহু সাধারণ মানুষও। যদিও জমায়েতস্থল থেকে ১০ হাত দূরেই ব্যারিকেড বসিয়ে রেখেছিল পুলিশ। মোতায়েন ছিল বিশাল বাহিনীও।
এর পরেই অভয়া মঞ্চের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তারা মিছিল নিয়ে এগোবে না। পরিবর্তে হাজরা পার্কের সামনে মঞ্চ বাঁধা হয়। তাতেও পুলিশি বাধা এসেছিল বলে অভিযোগ। যদিও পরে ছোট করে মঞ্চ বাঁধতে দেওয়া হয় বলেই জানিয়েছে অভয়া মঞ্চ। পাশাপাশি হাজরা মোড়ে রাস্তায় বসে বিক্ষোভও দেখায় তারা। যার জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যান চলাচল। পরে পুলিশের অনুরোধে এক দিকের রাস্তা খোলা হয়।
নবান্ন অভিযানে গিয়ে জখম হয়েছেন আরজি করের নির্যাতিতার মা। এই ঘটনার জন্য পুলিশ তো দায়ীই। পাশাপাশি যাঁরা মা-বাবাকে মিছিলে নিয়ে গিয়েছিলেন, দায়ী তাঁরাও। এমনটাই মত অভয়া মঞ্চের। প্রসঙ্গত, শনিবার নির্যাতিতার মা-বাবাই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। তাতে সমর্থন করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর আহ্বানে বিজেপি নেতা-কর্মীরাও নবান্ন অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন।
অভয়া মঞ্চের হাজির হয়ে জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য আচার্য বলেন, “আমরা এক বছর অভয়ার বাবা-মাকে নিয়ে পথ চলেছি, মিছিল করেছি। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটেনি। আজ ঘটল, তাই এটাও বলতে হবে।” আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলাকালীন ধর্মতলায় অনশনে বসেছিলেন পুলস্ত্য। একই কথা বলেছেন আহ্বায়ক তমোনাশ চৌধুরীও।
হাজরা মোড়ে জমায়েতস্থলে গিয়েছেন নদিয়ার কালীগঞ্জে দুষ্কৃতীদের বোমা হামলায় নিহত কিশোরী তমন্নার মা। তিনি বলেন, ‘‘আমার মেয়ে কোনও দল বুঝত না। সে দেওয়ালে খাতায় ভারতমাতার ছবি আঁকত। তাকে খুন করেছে মুখ্যমন্ত্রীর দলের লোক। ওঁর পদত্যাগ চাই।’’ অভয়া মঞ্চের ডাকা সমাবেশে হাজির আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁওয়ের নির্যাতিতার মা-ও। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। এই সরকারের বদল না হলে কোনও নির্যাতিতা বিচার পাবে না।’’
হাজরায় অবস্থান বিক্ষোভের জায়গায় গিয়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্রা। সেখান থেকে ২০২৬ সালে রাজ্যে পালাবদলের ডাক দিলেন তিনি। বললেন, ‘‘’২৬-এ বদল দরকার।’’
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। অভয়া মঞ্চ জানায়, তারা এ বার নির্যাতিতার মা-কে হাসপাতালে দেখতে যাবেন।
আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান বিক্ষোভ উঠে গেল হাজরা মোড় থেকে। এ বার নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করতে যাবেন অভয়া মঞ্চের সদস্যেরা।
হাজরায় অবস্থান বিক্ষোভের জায়গায় গিয়েছিলেন শ্রীলেখা মিত্রা। সেখান থেকে ২০২৬ সালে রাজ্যে পালাবদলের ডাক দিলেন তিনি। বললেন, ‘‘’২৬-এ বদল দরকার।’’
তমন্নার মা বলেন, ‘‘আমার মেয়ে কোনও দল বুঝত না। সে দেওয়ালে খাতায় ভারতমাতার ছবি আঁকত। তাকে খুন করেছে মুখ্যমন্ত্রীর দলের লোক। ওঁর পদত্যাগ চাই।’’ অভয়া মঞ্চের ডাকা সমাবেশে হাজির আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁওয়ের নির্যাতিতার মা-ও। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। এই সরকারের বদল না হলে কোনও নির্যাতিতা বিচার পাবে না।’’
নবান্ন অভিযানে গিয়ে জখম হয়েছেন আরজি করের নির্যাতিতার মা। এই ঘটনার জন্য পুলিশ তো দায়ীই। পাশাপাশি যাঁরা মা-বাবাকে মিছিলে নিয়ে গিয়েছিলেন, দায়ী তাঁরাও। এমনটাই মত অভয়া মঞ্চের। প্রসঙ্গত, শনিবার নির্যাতিতার মা-বাবাই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। তাতে সমর্থন করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর আহ্বানে বিজেপি নেতা-কর্মীরাও নবান্ন অভিযানে যোগ দিয়েছিলেন।
অভয়া মঞ্চের হাজির হয়ে জুনিয়র ডাক্তার পুলস্ত্য আচার্য বলেন, “আমরা এক বছর অভয়ার বাবা-মাকে নিয়ে পথ চলেছি, মিছিল করেছি। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটেনি। আজ ঘটল, তাই এটাও বলতে হবে।” আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলাকালীন ধর্মতলায় অনশনে বসেছিলেন পুলস্ত্য। একই কথা বলেছেন আহ্বায়ক তমোনাশ চৌধুরীও।
বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বসে পড়ায় হাজরা মোড়ের চারদিকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে পুলিশের অনুরোধে এক দিকের রাস্তা খোলা হয়েছে।
অভয়া মঞ্চের তরফে জানানো হয়, মিছিল এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে না। হাজরা মোড়ে মঞ্চ বেঁধে প্রতিবাদ চলবে। পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে গিয়ে শঙ্খ বাজিয়ে এক পুলিশ কর্তার হাতে রাখি পরিয়ে দেন অভয়া মঞ্চের এক সদস্য। হাত জোড় করে তিনি বলেন, “আমরা বিচার চাই।” পাল্টা পুলিশ কর্তা হাতজোড় করে বলেন, “আপনারা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করুন।”
হাজরা মোড়ে জমায়েতস্থলে গিয়েছেন নদিয়ার কালীগঞ্জে দুষ্কৃতীদের বোমা হামলায় নিহত কিশোরী তমন্নার মা।
হাজরা মোড়ে তমন্নার মা। —নিজস্ব চিত্র।
হাজরা পার্কের সামনে মঞ্চ বাঁধা হচ্ছে। অভয়া মঞ্চের সংগঠক যিষ্ণু মুখোপাপাধ্যায়ের অভিযোগ, প্রথমে পুলিশ বাধা দেয়। তার পর ছোট করে মঞ্চ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মঞ্চ বাঁধা হচ্ছে হাজরা মোড়ে। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাজরা মোড়ে জমায়েত করেছেন অভয়া মঞ্চের সদস্যেরা। মানস গুমটা, উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কিছু সিনিয়র চিকৎসক রয়েছেন। যোগ দিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। যদিও জমায়েতস্থল থেকে ১০ হাত দূরেই ব্যারিকেড বসিয়ে রেখেছে পুলিশ। মোতায়েন রয়েছে বিশাল বাহিনীও।
ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে রেখেছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
বিশাল পুলিশবাহিনী হাজরা মোড়ে। —নিজস্ব চিত্র।
শুক্রবারই কলকাতা পুলিশ জানিয়েছিল, তারা কালীঘাট অভিযানের অনুমতি দেয়নি। ওই কর্মসূচি করা যাবে। প্রতিবাদের জন্য আয়োজকদের বিকল্প জায়গাও বলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
শনিবার বিকেল ৪টেয় কালীঘাট অভিযানের ডাক দিয়েছিল চিকিৎসকদের সংগঠন অভয়া মঞ্চ। সেই লক্ষ্যেই হাজরা মোড়ে জমায়েত শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছিল, তারা এই কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি। কালীঘাট অভিযান করা যাবে না। সেইমতো প্রস্তুতিও নিয়েছে লালবাজার।
হাজরা মোড়ে জমায়েত। —নিজস্ব চিত্র।