সব কেন্দ্রেই থাকতে পারে আধাসেনা

লালবাজার সূত্রের খবর, বুথ পিছু নয়, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৯ ০১:৩৫
Share:

বড়বাজার এলাকায় শনিবার টহল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। নিজস্ব চিত্র

শহরে ভোটের একশো শতাংশ দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতেই থাকার সম্ভাবনা।

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, শেষ দফায় ১৯ মে হবে কলকাতার দু’টি আসন-সহ যাদবপুর এবং জয়নগরের ভোট। তা পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পুলিশ। শহরে আপাতত দু’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। ভোটের দিন সেই সংখ্যা কত হবে, রবিবার পর্যন্ত তা চূড়ান্ত হয়নি। তবে সে দিন প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতেই থাকার সম্ভবনা বলে লালবাজার সূত্রের দাবি।

লালবাজার সূত্রের খবর, বুথ পিছু নয়, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রভিত্তিক দায়িত্ব ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। চারটি বুথ রয়েছে, এমন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে থাকার কথা অর্ধেক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনীর। প্রতিটি সেকশনে আট জন করে জওয়ান থাকেন। অর্থাৎ, এ ক্ষেত্রে কেন্দ্র পিছু চার জন করে জওয়ান থাকবেন। যে সব ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে চারটির বেশি বুথ, সেখানে এক সেকশন বা তার চেয়ে বেশি বাহিনী থাকার কথা। কোনও কেন্দ্রে দশটির বেশি বুথ থাকলে মোতায়েন করা হতে পারে এক প্লাটুন বা ২৪ জন জওয়ান। এখানে এমন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা চারটি। শহরে মোট ১৫৮০টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ৪৭০০টি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এক জন করে হোমগার্ড থাকার কথা। হোমগার্ড সংখ্যায় অপ্রতুল হলে কোথাও কোথাও কনস্টেবল বা এনভিএফ থাকবে বলে প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কমিশনের তরফে প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের এক কর্তার বক্তব্য, কমিশন একদম শেষ পর্যায়ে এসে বাহিনীর সংখ্যা ঠিক করছে। ফলে শহরে কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে তা চূড়ান্ত ভাবে ঠিক হবে না।

Advertisement

২০১৬ সালের ওই নির্বাচনে সেক্টর মোবাইল টিম, কুইক রেসপন্স টিমে দায়িত্বে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। এ বারও কুইক রেসপন্স টিম-সহ নজরদারি টিমে এক সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কথা। যার নেতৃত্বে থাকবেন এক জন করে ইনস্পেক্টর। পুলিশ জানিয়েছে, ভোটগ্রহণের পরে ইভিএম মেশিন রাখার জন্য কলকাতায় ২০টি স্ট্রং রুম রয়েছে। ভোট-পাহারার জন্য প্রতিটি স্ট্রং রুমে এক প্লাটুন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার কথা।

লালবাজার সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই জানা যাবে, কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের জন্য শহরে আসবে। তার পরেই চূড়ান্ত হবে নিবার্চনী পরিকল্পনা। কিন্তু লালবাজার তার আগেই শহরে শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য পরিকল্পনা প্রস্তুত করে ফেলার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি, বাহিনীর মোতায়েন নিয়ে কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন কলকাতা পুলিশের কর্তারা। বাহিনীর মোতায়েন ও ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে মঙ্গলবারও পুলিশ কমিশনার রাজেশ কুমারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement