ভোটের প্রচারে এখনও উপেক্ষিত নিউ টাউন

ভোটারের সংখ্যা ২০ হাজারের মতো। তবু ভোটের প্রচারে যেন অনেকটাই ব্রাত্য কলকাতা সংলগ্ন নিউ টাউনের বিস্তীর্ণ এলাকা।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০১:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

দেওয়াল লিখন প্রায় নেই বললেই চলে। ভোট চলে এলেও রাজনৈতিক নেতারা এখনও এখানে মিটিং-মিছিল শুরুই করেননি। প্রতি রবিবার সকালে প্রার্থীরা প্রচারে বেরোলেও রবিবাসরীয় সেই প্রচারের উত্তাপও এখানে পৌঁছয় না।

Advertisement

ভোটারের সংখ্যা ২০ হাজারের মতো। তবু ভোটের প্রচারে যেন অনেকটাই ব্রাত্য কলকাতা সংলগ্ন নিউ টাউনের বিস্তীর্ণ এলাকা। অ্যাকশন এরিয়া ওয়ান, টু বা থ্রি-র আবাসন এলাকাগুলিতে সে ভাবে দেওয়াল লিখন বা বড় বড় ফ্লেক্সে প্রার্থীদের প্রচার চোখে পড়ছে না। আকাঙ্ক্ষা মোড়ের কাছে একটি বহুতল আবাসনের বাসিন্দাদের মতে, ভোট যে শিয়রে চলে এসেছে, তা বোঝা যায় নিউ টাউন থেকে বেরিয়ে কলকাতায় এলে। তাঁদের আবাসনে বসে ভোটের হাওয়া প্রায় কিছুই গায়ে লাগছে না।

ভোটের প্রচারে নিউ টাউনের বহুতল এলাকাগুলি ব্রাত্য কেন?

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

নিউ টাউনের একটি বড় অংশ বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদার, ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী হরিপদ বিশ্বাস ও বিজেপি প্রার্থী মৃণালকান্তি দেবনাথ। প্রার্থীদের হয়ে যাঁরা প্রচার করছেন, তাঁদের একাংশের মতে, নিউ টাউনের বেশির ভাগ আবাসনের দেওয়ালে কিছু লেখা যায় না। সরকারি জায়গায় ফ্লেক্স টাঙানো বারণ। বাতিস্তম্ভেও বাঁধা যাচ্ছে না পতাকা বা ফ্লেক্স। কাকলির নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে থাকা শঙ্করনাথ সাহা বলেন, ‘‘অন্যান্য এলাকার তুলনায় নিউ টাউনে প্রচারের কাজ হচ্ছে কমই। কারণ, বড় বড় আবাসনের দেওয়ালে লিখতে গেলে আপত্তি জানান বাসিন্দারা। তবে আমরা কিছু ফ্লেক্স কয়েকটা জনবহুল জায়গায় লাগানোর পরিকল্পনা করছি।’’ শঙ্করবাবু জানান, দ্রুত ওই এলাকায় রবিবাসরীয় প্রচার শুরু হবে।

হরিপদবাবুর প্রচারের দায়িত্বে থাকা সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বড় বড় আবাসনে ভোটার স্লিপ পৌঁছে দিতেও অসুবিধা হয়। তবে এ বার আমরা ওই এলাকায় কিছু রোড শো করব।’’ মৃণালকান্তিবাবুর হয়ে যাঁরা প্রচার করছেন, তাঁদেরই এক জন অনুপম ঘোষ বলেন, ‘‘ভোটের তো এখনও বেশ কিছুটা সময় রয়েছে। এখন প্রচারের প্রস্তুতি চলছে। নিশ্চিত ভাবেই ওই এলাকায় প্রচার করা হবে।’’

নিউ টাউনের নারকেলবাগান এলাকার একটি আবাসনের বাসিন্দাদের মতে, ওই এলাকায় এক দিকে যেমন দেওয়ালে লেখার বা ফ্লেক্স লাগিয়ে প্রচারের সুযোগ কম, সে রকমই আবার সেখানে ভোটারের সংখ্যাও অন্যান্য এলাকার থেকে কিছুটা কম।

নিউ টাউনের বাসিন্দাদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর সংখ্যা অনেক। তাঁদের মধ্যে অনেকেই এখানকার ভোটার নন। অনেকে আবার নিউ টাউনে ফ্ল্যাট কিনে এলেও এখনও এখানকার ভোটার হননি।

অ্যাকশন এরিয়া ওয়ানের একটি আবাসনের কয়েক জন বাসিন্দা জানান, ভোটার কার্ডের ঠিকানা এখনও পাল্টানো হয়নি তাঁদের। আর একটি আবাসনের এক বাসিন্দা জানান, নিউ টাউনে এখনও সর্বত্র লোকবসতি গড়ে ওঠেনি। তাই এখানে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বিশেষ চোখে পড়ে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন