general-election-2019-west-bengal

ভোট শেষ হতেই বিক্ষিপ্ত গোলমাল

মঙ্গলবারও দিনভর এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। টহল দিয়েছে পুলিশ। এ দিন বিকেলে ছয়নাভিতে বিক্ষোভ দেখান সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৯ ০০:৪৯
Share:

ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে ফ্রিজ। মঙ্গলবার, ছয়নাভিতে। নিজস্ব চিত্র

ভোট মিটেছে মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ভাবে। কিন্তু তার পর থেকেই সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত গোলমালের খবর আসতে শুরু করেছে। সোমবার রাতে লাবণি বাসস্ট্যান্ডের কাছে দত্তাবাদে বোমা পড়ে। রাতে বিধাননগর পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়নাভিতে বিজেপি ও সিপিএমের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের কয়েক জনকে মারধরও করা হয়। অভিযোগের তির শাসক দলের দিকে। যদিও তৃণমূলের স্থানীয় সূত্রের দাবি, ছয়নাভির ঘটনায় তাদের দলের কেউ জড়িত নয়।

Advertisement

মঙ্গলবারও দিনভর এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। টহল দিয়েছে পুলিশ। এ দিন বিকেলে ছয়নাভিতে বিক্ষোভ দেখান সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা।

বিজেপির অভিযোগ, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রবীর সর্দারের নেতৃত্বে সোমবার রাতে তাদের উপরে হামলা চালানো হয়। ওই ওয়ার্ডে তাঁদের কর্মী এবং পোলিং এজেন্ট সন্তু বৈদ্য, বিশ্বজিৎ সর্দার, মনোজিৎ সর্দারের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। জিনিস ভর্তি ফ্রিজ ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ভাঙা হয় একটি মোটরবাইকও।

Advertisement

এর পাশাপাশি সিপিএম অভিযোগ করেছে, ওই দিন সকালে কাজে যাওয়ার সময়ে তাদের এক সমর্থক সুধীর সর্দারকে মারধর করে তৃণমূলের কর্মীরা। দুপুরে এলাকার কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। প্রবীরবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমার নাম জড়াচ্ছেন বিরোধীরা।’’

বিরোধীদের আরও অভিযোগ, বারবার পুলিশকে ঘটনার কথা জানানো হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ যত ক্ষণে
পৌঁছচ্ছে, তত ক্ষণে যা হওয়ার হয়ে যাচ্ছে। অথচ ছয়নাভিতেই রয়েছে পুলিশ-ক্যাম্প। পুলিশ যদিও জানিয়েছে, খবর পাওয়া মাত্রই তারা গিয়েছিল। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সিপিএম নেতা বুম্বা মৈত্র বলেন, ‘‘ভোটে বুথ দখল, ছাপ্পা দিতে না পেরে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। এলাকায় সুষ্ঠু পরিবেশ ফেরাতে অবিলম্বে পুলিশকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সোমবার রাতেই আবার ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে লাবণি বাসস্ট্যান্ডের কাছে বোমা পড়ে। যার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় কাউন্সিলর নির্মল দত্তের অভিযোগ, ভোটের দিনে গোলমাল পাকাতে না পারার বদলা নিতেই এই ঘটনা। এলাকার বিধায়ক তথা দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু অভিযোগ করেন, বিজেপির এক কর্মী মোহন মণ্ডল বোমা মারায় জড়িত।

মন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা উমাশঙ্কর ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘‘ওই নামে কেউ আমাদের দলে নেই। নিজেদের অভ্যন্তরীণ গোলমাল আমাদের নামে চাপাচ্ছে তৃণমূল।’’ ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা প্রসঙ্গে দমকলমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন, পুরোটাই স্থানীয় গোলমাল। এর সঙ্গে রাজনীতির
যোগ নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement