পরিদর্শন: রেশন দোকানে চালের মান খুঁটিয়ে দেখছেন মহকুমাশাসক। বৃহস্পতিবার, বিধাননগরে। নিজস্ব চিত্র
আচমকা রেশন দোকানে হাজির বিধাননগরের মহকুমাশাসক এবং আধিকারিকেরা। কী অবস্থায় চলছে দোকান, কী ধরনের সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে, খোঁজ নিতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ। ২ টাকা কেজি দরে যে মানের চাল সরবরাহ করার কথা, দেখা গেল সেই চাল বস্তাবন্দি হয়ে দোকানের ভিতরে পড়ে রয়েছে। ক্রেতাদের সামনে সাজানো রয়েছে নিম্ন মানের চাল। এমনকী সেই চালে পোকাও দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ।
কেন সরকারের দেওয়া চালের বদলে অন্য চাল সরবরাহ করা হচ্ছে? মহকুমাশাসকের প্রশ্নের জবাবে তখন নানা যুক্তি হাজির করেন রেশন দোকানের মালিক। তাতে অবশ্য সন্তুষ্ট নন বলেই জানিয়েছেন মহকুমাশাসক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে খাদ্য দফতর এবং মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বিধাননগরের ফাল্গুনী আবাসন থেকে সুকান্তনগরের বেশ কয়েকটি রেশন দোকানে যান মহকুমাশাসক সৈকত চক্রবর্তী। তিনি জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রেশন দোকানের অবস্থা সন্তোষজনক। কিছু ক্ষেত্রে অসঙ্গতি দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে একটি দোকানের সরবরাহ প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে সতর্কও করা হয়েছে।
বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভ, সরকার কী মানের চাল বা অন্য সামগ্রী সরবরাহ করছে তা তাঁদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। কিন্তু এ দিন যা ঘটেছে তা কার্যত প্রতারণার সামিল। এতে সরকারের সরবরাহ করা চাল আখেরে মানুষের কাছে পৌঁছবে না। মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, সব দিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।