বাইক পাচারের পাণ্ডা গ্রেফতার

মোটরবাইক নিয়ে ঘন ঘন এলাকায় ঘুরছিল দুই যুবক। সন্দেহ হতে পুলিশ সেটি থামানোর চেষ্টা করতেই বাইক থেকে নেমে চম্পট দেয় আরোহী। ধরা পড়ে বাইক চালক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৬ ০০:৫৭
Share:

মোটরবাইক নিয়ে ঘন ঘন এলাকায় ঘুরছিল দুই যুবক। সন্দেহ হতে পুলিশ সেটি থামানোর চেষ্টা করতেই বাইক থেকে নেমে চম্পট দেয় আরোহী। ধরা পড়ে বাইক চালক। জানা যায়, ওই মোটরবাইক চালক আদতে একটি আন্তর্জাতিক গাড়ি পাচার চক্রের অন্যতম মাথা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ব্যক্তির নাম অসীম বিশ্বাস (৪০)। তার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়ায়। তার কাছ থেকে একটি চোরাই মোটরবাইক ও একটি ‘মাস্টার কি’ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। শনিবার বিধাননগর আদালতে ধৃতের তিন দিনের পুলিশ হেফাজত হয়।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে সল্টলেকের পাঁচ ও চার নম্বর সেক্টরের সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিল বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। বার বার একটি মোটরবাইক এলাকায় চক্কর মারছে দেখে সন্দেহ হয় পুলিশকর্মীদের। তাঁরা থামানোর চেষ্টা করতেই বাইকের গতি বাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করে অসীম। শেষে সুকান্তনগরের কাছাকাছি বাইকটি থামায় পুলিশ। তখনই অসীমের সঙ্গে বাইকে সওয়ার এক যুবক পালিয়ে যায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, পাটুলি থানা এলাকার একটি চোরাই মোটরবাইক নিয়ে সল্টলেকে ঢুকেছিল অসীম। বাইক চুরির উদ্দেশ্যেই সেখানে এসেছিল বলে সে জেরায় স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, অসীম মূলত চোরাই মোটরবাইকের রিসিভার। সে চোরাই মোটরবাইক বাংলাদেশে পাচার করতে বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। চাঁদপাড়ায় খোঁজ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃতের বাড়িতে মাঝেমধ্যেই মোটরবাইক আসত এবং সেগুলি আবার কিছু দিনের মধ্যে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হত। অসীমের বাড়িতে চারটি মোটরবাইক ছিল বলে জেনেছেন তদন্তকারীরা। যদিও পুলিশ পৌঁছনোর আগেই সেগুলি সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।বিধাননগরের এক পুলিশকর্তা জানান, বিধাননগর ও দক্ষিণ কলকাতা এলাকায় মোটরবাইক পাচার চক্রের অন্যতম পাণ্ডা অসীম। তাকে জেরা করে চক্রটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন