এত নোংরা কেন, ক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রীর

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আসতে আসতে দেখলাম, রেলিংগুলো খুব নোংরা হয়ে রয়েছে। ১০০ দিনের কর্মীদের দিয়ে তো ধুয়েও দিতে পারো!...

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:২১
Share:

অবহেলা: রাস্তার পাশে পড়ে মমতার ছবি-সহ ছেঁড়া ফ্লেক্স।

রেলিং এত নোংরা কেন? পুরনো ফ্লেক্স কেন ঝুলছে? মঙ্গলবার বারাসতে প্রশাসনিক বৈঠকের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমন প্রশ্নের মুখে প়ড়লেন দমদম ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রধানেরা। এই ধরনের অবহেলা ও গাফিলতি যে সৌন্দর্যায়ন নিয়ে তাঁর উদ্যোগকে বারবার পিছিয়ে দিচ্ছে, এ দিন প্রকারান্তরে সেটাই যেন বলতে চাইলেন মমতা।

Advertisement

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আসতে আসতে দেখলাম, রেলিংগুলো খুব নোংরা হয়ে রয়েছে। ১০০ দিনের কর্মীদের দিয়ে তো ধুয়েও দিতে পারো! রাস্তায় যাতায়াতের সময়ে দেখি, বিভিন্ন জায়গায় দলের ও প্রশাসনের হোর্ডিং-ফ্লেক্স ঝুলছে। প্রতিটি ফ্লেক্সেরই তো একটা নির্দিষ্ট আয়ু আছে। সেগুলো রাস্তার পাশে ধুলো মাখা, কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। এ সব তুলে ফেলা হয় না কেন? পরিষ্কার হোর্ডিং-ফ্লেক্স থাকলে মানুষের নজরেও পড়ে।’’

এ দিন ভিআইপি রোড থেকে যশোর রোড ধরে বারাসত পৌঁছয় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। ওই যাত্রাপথে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে পান, রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় পুর পরিষেবায় অযত্নের ছাপ। তিনি দুই পুরসভার কোনও নির্দিষ্ট এলাকার কথা না বললেও সূত্রের খবর, বাঙুরে নয়ানজুলির ধারে অনূর্ধ্ব-১৭ যুব বিশ্বকাপের সময়ে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের যে ফ্লেক্স দক্ষিণ দমদম পুরসভা লাগিয়েছিল, তাতে ধুলোর আস্তরণ। কোথাও খুলে পড়েছে সেই ফ্লেক্স। ওই বিশ্বকাপের সময়েই হোর্ডিং-ফ্লেক্সে কলকাতা বিমানবন্দরের দেওয়ালের সৌন্দর্যায়ন করেছিল দমদম পুরসভা। সেই সব ফ্লেক্স এখন ধুলোয় মলিন। কোথাও নোংরার মধ্যে পড়ে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সংবলিত হোর্ডিং।

Advertisement

রেলিংয়ে ধুলোর পুরু আস্তরণ। মঙ্গলবার, যশোর রোডে।

তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘রাস্তাঘাট পরিষ্কার রাখতে হবে। নিজেদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে কাজ করতে হবে। নাম হলে তো তোমাদেরই হবে!’’

ছবি: সৌরভ দত্ত

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন