প্রতীকী ছবি।
একটি বহুতলের পাঁচতলা থেকে পড়ে গিয়ে এক প্রৌঢ়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। মঙ্গলবার, লিলুয়ার চকপাড়ার কালীতলার ঘটনা। পুলিশের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময়ে অশোক দাস (৫৫) নামে ওই ব্যক্তি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যে, তাঁর স্ত্রী তাঁকে ঠেলে ফেলে দিয়েছেন। যদিও তাঁর পরিবারের দাবি, নেশা করতে না দেওয়ায় পাঁচতলার ফ্ল্যাটের জানলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন অশোকবাবু। পরে বিকেলে মারা যান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই এলাকার একটি বহুতলের পাঁচতলা থেকে নীচে পড়ে যান অশোকবাবু। প্রথমে রাস্তার পাশে কেব্ল সংযোগের তারের উপরে পড়েন তিনি। তার পরে রাস্তায় পড়েন। তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বিকেলে সেখানেই মারা যান তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন মৃত্যুর আগে অশোকবাবু অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্ত্রী সোমা দাস তাঁকে ঠেলে নীচে ফেলে দিয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে সোমাদেবী এবং ওই পরিবারের সদস্যেরা জানাচ্ছেন, প্রায় প্রতিদিন মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে মারধর করতেন অশোকবাবু। তবে কিছু দিন ধরে ওই ফ্ল্যাটে থাকছিলেন না তিনি। পুলিশ জানায়, সোমাদেবীর অভিযোগ, এ দিন মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে তাঁর ও মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া করতে শুরু করেন অশোকবাবু। এমনকি স্ত্রীকে মারধরও করেন বলে অভিযোগ। এর পরেই মত্ত অশোকবাবুকে ফ্ল্যাটের একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। আর তার পরেই সেই ঘরের জানলা থেকে ঝাঁপ দেন ওই প্রৌঢ়। তাঁর পরিবার সূত্রের খবর, ইদানীং তিনি কোনও কাজ করতেন না। কিছু দিন আগে স্ত্রীকে বঁটি দিয়ে খুন করার চেষ্টাও করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পরিবারের সকল সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।