শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বাঘা যতীন স্টেশন সংলগ্ন লেভেল ক্রসিংয়ের কাছে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির।
রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ সোনারপুরগামী একটি লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় আহত হন বছর পঁয়ষট্টির এক ব্যক্তি। তাঁর হাত এবং মাথায় গুরুতর আগাত লাগে। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ জিআরপি ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে এন আর এস হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাত পর্যন্ত ওই বৃদ্ধের পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্টেশনে যাওয়ার মূল রাস্তা এড়িয়ে ওই লেভেল ক্রসিংয়ের পাশের একটি পায়ে হাঁটা রাস্তা ধরে যাত্রীদের একাংশ বাঘা যতীন স্টেশনে যাতায়াত করেন। বর্ষার সময়ে ওই সংকীর্ণ রাস্তাটি আগাছায় ভরে যাওয়ায় যাত্রীদের অনেকে ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের উপর দিয়ে হেঁটে কয়েকশো মিটার দূরের প্ল্যাটফর্মে যাতায়াত করেন বলেও অভিযোগ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, এ দিন ওই বৃদ্ধ লেভেল ক্রসিংয়ের দিক থেকে ওই রাস্তা ধরে হেঁটে এসে রেললাইনে ওঠার চেষ্টা করেন। ওই অংশ উঁচু আগাছায় ভরে থাকায় ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন আসছে কি না, তা দেখার উপায় ছিল না বৃদ্ধের। তার জেরেই দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের অনুমান। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ধাক্কা লাগার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বৃদ্ধের মৃত্যু ঘটে।
ওই রাস্তা দিয়ে লোকজনের যাতায়াত কম হওয়ায় দুর্ঘটনার কিছু পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। স্থানীয়দের মাধ্যমে বাঘা যতীন স্টেশনে রেলের আধিকারিকদের কাছে খবর পৌঁছনোর পরে তাঁরা যাদবপুর জিআরপি থানায় খবর পাঠান। বেলা ১২টা ২৫ মিনিট নাগাদ রেলের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় মেমো দেওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যে রেলপুলিশ ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, দুর্ঘটনার পরে বেশ কিছু ক্ষণ ওই ব্যক্তি জীবিত থাকলেও রেলের তরফে কেউ এগিয়ে আসেননি। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে রেলপুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। তবে রেল এবং জিআরপি-র পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
শিয়ালদহ ডিভিশনের এক কর্তা বলেন, “দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র বিষয়টি যাদবপুরে জিআরপি-কে জানানো হয়েছিল। জিআরপি-র আধিকারিকেরা আসা মাত্র তাঁদের হাতে রেলের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় মেমো দেওয়া হয়। তাই দেরির প্রশ্ন ওঠে না।” শিয়ালদহের রেল পুলিশ সুপার অশেষ বিশ্বাস বলেন, “রেলের কাছ থেকে মেমো পাওয়ার মিনিট দশেকের মধ্যেই ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।”