মনুয়া-কাণ্ড নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ পুলিশের

টুকরো টুকরো রিপোর্ট আগেই জমা পড়েছিল। মঙ্গলবার বারাসত আদালতে মনুয়া-কাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিল পুলিশ। এ দিনই জমা পড়ল এই মামলার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও। এই মামলায় আরও কয়েক জনকে সাক্ষী হিসাবে সওয়াল করা প্রয়োজন বলে চার্জশিটে জানিয়েছে পুলিশ। এ দিন এক মহিলা পুলিশ অফিসারের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৫১
Share:

মনুয়া মজুমদার

টুকরো টুকরো রিপোর্ট আগেই জমা পড়েছিল। মঙ্গলবার বারাসত আদালতে মনুয়া-কাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিল পুলিশ। এ দিনই জমা পড়ল এই মামলার সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও। এই মামলায় আরও কয়েক জনকে সাক্ষী হিসাবে সওয়াল করা প্রয়োজন বলে চার্জশিটে জানিয়েছে পুলিশ। এ দিন এক মহিলা পুলিশ অফিসারের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

Advertisement

দিন চারেক আগে আদালতে মনুয়া মজুমদারের প্রেমিক অজিত রায় সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে জলের বোতল ছুড়ে মেরেছিল। সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখে এ দিন আদালত চত্বরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল অনেকটাই। তবে অজিত বা মনুয়ার আচরণ এ দিন স্বাভাবিকই ছিল।

গত বছরের মে মাসে নিজের ভাড়াবাড়িতে খুন হন মনুয়ার স্বামী অনুপম সিংহ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, প্রেমিক অজিত রায়কে দিয়ে মনুয়াই খুন করিয়েছে অনুপমকে। ঘটনার বেশ কয়েক দিন পরে বারাসত থানার পুলিশ প্রথমে অজিত ও পরে মনুয়াকে গ্রেফতার করে। তার পর থেকে মনুয়া বারবার জামিনের আবেদন করলেও তা নাকচ করে দিয়েছে আদালত।

Advertisement

গত বছরের অগস্টে পুলিশ মামলার প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল। তাতে মনুয়াকেই খুনের ‘মাস্টার মাইন্ড’ বলে উল্লেখ করেছিল পুলিশ। তার সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং তথ্য প্রমাণের রিপোর্ট পেশ করেছিল। তার পরে মামলার শুনানি যেমন যেমন এগিয়েছে, সঙ্গতি রেখে রিপোর্টও জমা দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ল।

শেষ দফার রিপোর্টে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন এই মামলার সরকারি আইনজীবী বিপ্লব রায়। তিনি জানান, অনুপম খুনে ব্যবহৃত লোহার রডে লেগে থাকা রক্তের নমুনার সঙ্গে অনুপমের ডিএনএ মিলে গিয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ফরেন্সিক রিপোর্টে তেমনটাই রয়েছে। একই সঙ্গে অজিতের আঙুলের ছাপের রিপোর্টও জমা পড়েছে। তার সঙ্গে অনুপমের বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত বিভিন্ন জিনিসে আঙুলের ছাপও মিলে গিয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে পুলিশ। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে সে সবই রয়েছে।

এ দিন যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা পড়েছে, তাতে আরও কয়েক জনের সাক্ষ্য জরুরি বলে জানিয়েছে পুলিশ। যে সব ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ মামলায় বাজেয়াপ্ত জিনিসপত্র পরীক্ষা করেছেন, তাঁদের সাক্ষ্য নেওয়া জরুরি বলে পুলিশ জানিয়েছে। এই মামলার অধিকাংশ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়ে গিয়েছে। শুনানি প্রায় শেষ পর্যায়ে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

এ দিন এক মহিলা পুলিশ আধিকারিকের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। মনুয়াকে গ্রেফতারের সময় ওই মহিলা অফিসার পুলিশের দলে ছিলেন। মনুয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালানো এবং কিছু জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করার সময়েও তিনি উপস্থিত ছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন