ফের ব্যর্থ বেড়াল উদ্ধারের চেষ্টা

পর্বতারোহী, মোবাইলে বেড়ালের ডাক, খাবার দেওয়া ফাঁদ— কিছুতেই কাজ হল না। দ্বিতীয় দিনের চেষ্টার পরেও উদ্ধার করা গেল না খন্নায় বহুতলে আটকে পড়া বেড়াল ছানাটিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৩৪
Share:

পর্বতারোহী, মোবাইলে বেড়ালের ডাক, খাবার দেওয়া ফাঁদ— কিছুতেই কাজ হল না। দ্বিতীয় দিনের চেষ্টার পরেও উদ্ধার করা গেল না খন্নায় বহুতলে আটকে পড়া বেড়াল ছানাটিকে। তবে তার নেমে আসার আশায় বহুতলের সামনে বেশ কিছু ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

Advertisement

বেড়াল ছানাটি তিন দিন ধরে ওই বহুতলে আটকে রয়েছে বলে শুক্রবার দুপুরে একটি সোশ্যাল সাইটের পোস্ট ভাইরাল হয়। পশুপ্রেমীদের অনুরোধে বেড়াল উদ্ধারে যায় দমকল। ছিল পুলিশও। তবে দু’দফার চেষ্টাতেও বেড়ালটিকে উদ্ধার করতে পারেনি দমকল।

দমকল আধিকারিকেরা জানান, বহুতলের তিনতলার একটি নিকাশি পাইপের ঘুলঘুলির মধ্যে ঢুকে রয়েছে বেড়াল ছানাটি। ল্যাডার লাগিয়েও তার নাগাল পাওয়া যায়নি। হোসপাইপের মাধ্যমে জল দিয়েও বেড়ালটিকে এক সময়ে বার করে আনার চেষ্টা হয়। তবে বেশি লোক হলেই ভয়ে সে ওই ঘুলঘুলির মধ্যে ঢুকে পড়ছিল। পরে ঘুলঘুলির মুখে খাবার দিয়ে রাতের মতো অভিযান থামানো হয়।

Advertisement

শনিবার সকালে দমকলকর্মীরা না গেলেও বেড়ালটিকে উদ্ধার করতে যান পার্থসারথী দত্ত নামে এক পর্বতারোহী। কোমরে দড়ি বেঁধে ছাদ থেকে তিনি ওই ঘুলঘুলির সামনে নামেন। খাবার দিয়ে, আওয়াজ করে, নানা ভাবে বেড়ালটিকে বাইরে বার করার চেষ্টা হয়। এক সময়ে স্থানীয়দের দেখা যায়, ঘুলঘুলি থেকে বেড়ালকে বার করে আনতে মোবাইলে বেড়ালের ডাক চালাচ্ছেন। তবে তাতেও কাজের কাজ হয়নি।

পরে স্থানীয়েরা পরিকল্পনা করে একটি বস্তার মুখে খাবার দেওয়া-নেওয়ার বাক্স লাগিয়ে তাতে ছোট মাছ এবং মাংস রেখে দেন। ছিদ্র করে দেওয়া হয় ওই বাক্সের মধ্যে। যাতে খাবারের লোভে বাক্সে ঢুকলেই সোজা বস্তায় গিয়ে পড়ে ড়ালছানাটি। পার্থসারথী বলেন, ‘‘এই পরিকল্পনা কাজে লেগে গেলে দ্রুত বেড়ালটিকে উদ্ধার করা যাবে। আমি নিজে কাল ফের নামব।’’ সেই সঙ্গে ওই ঘুলঘুলির পাশের আরও দু’টি ঘুলঘুলির একটিতে বাঁশ এবং অন্যটিতে দড়ি লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার মাধ্যমেও বেড়ালটি নীচে নেমে আসতে পারে বলে অনুমান স্থানীয়দের। এতেও কাজ না হলে আজ, রবিবার ওই বহুতল থেকে পাশের বহুতল পর্যন্ত পাটাতন পাতার পরিকল্পনাও করছেন স্থানীয়েরা। নন্দিতা দত্ত নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘‘নতুন করে আজ খাবার দিয়ে দিয়েছি। মনে হয়, বিড়ালটি ঠিক নেমে আসবে। একটু কষ্ট করে ওকে বেঁচে থাকতে হবে।’’ সেই সঙ্গে তাঁর বক্তব্য, এ দিনও দমকল এলে ভাল হত।

৪৮ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। ওই পাড়া এখনও বেড়াল উদ্ধারের প্রহর গুনছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন