প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতার প্রচারে পড়ুয়াদের কী ভাবে যুক্ত করা হচ্ছে, তা নিয়ে কলকাতা জেলা স্কুলশিক্ষা দফতরের কাছে রিপোর্টই পাঠায়নি অধিকাংশ স্কুল। যা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে আখ্যা দিচ্ছে দফতর।
ডেঙ্গি প্রচারে পড়ুয়াদের জুড়তে কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, সেই রিপোর্ট দুর্গাপুজোর আগেই দফতরের কাছে জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শহরের প্রায় ৫০০টি মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের মধ্যে সেই রিপোর্ট দিয়েছে মাত্র ২২০টি স্কুল। এ বার তাই এ বিষয়ে জরুরি রিপোর্ট তলব করেছে জেলা স্কুলশিক্ষা দফতর। স্কুলের এমন গড়িমসি মনোভাব নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, গত অগস্টে স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, পড়ুয়াদের ডেঙ্গি সচেতনতায় যুক্ত করতে হবে। ওই নির্দেশে বলা ছিল, পড়ুয়াদের নিজেদের এলাকায় তাদের দিয়েই সমীক্ষা করাতে হবে। স্কুল চত্বর পরিষ্কার রাখতে স্কুল কর্তৃপক্ষ কী করছেন, তারও রিপোর্ট চাওয়া হয়।
সম্প্রতি জেলা স্কুল পরিদর্শকের (ডিআই) তরফ থেকে ওই স্কুলগুলিকে কড়া চিঠি পাঠিয়ে রিপোর্ট জমা না-দেওয়ার বিষয়টিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফের স্কুলগুলিকে দ্রুত ওই রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন ডিআই। সমস্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরেই শহরের স্কুলগুলি আদৌ ঠিক ভাবে কাজ করেছে কি না, তা জানা যাবে।
তবে যে সমস্ত স্কুল রিপোর্ট জমা দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা জানা যায়নি। শহরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলছেন, ‘‘ডেঙ্গির মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা উচিত ছিল। দফতরের কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।’’