প্রতীকী ছবি।
মূলত স্কুল-কলেজের পড়ুয়ারাই ছিল তার ক্রেতা। আর সেই স্কুলের সামনে থেকেই গ্রেফতার করা হল মাদক পাচারকারী এক মহিলাকে। ধৃতের নাম মুন্নি দাস।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার মুন্নিকে এজেসি বসু রোডের একটি স্কুলের সামনে থেকে তিন কেজি গাঁজা-সহ গ্রেফতার করেন লালবাজারের নার্কোটিক্স বিভাগের গোয়েন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই মুন্নি মাদক পাচারকারী হিসেবে কাজ করত। তার স্বামী লক্ষ্মণও এই ব্যবসায় জড়িত। পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করত মুন্নি। ক্যানিং থেকে বাজারের ব্যাগে করে গাঁজা আনায় কারও সন্দেহ হত না। কলকাতায় এসে সে পুরিয়া হিসেবে ওই গাঁজা শাড়ির ভিতরে নিয়ে পৌঁছে যেত কলেজ এবং স্কুলগুলিতে। সেখানে অপেক্ষা করত ক্রেতাদের জন্য।
তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, শহরের বুকে মুন্নির নিয়মিত ক্রেতার সংখ্যা অন্তত একশোর উপরে। তবে যাকে-তাকে সে গাঁজা বিক্রি করত না। চেনা ক্রেতার সূত্র ধরে কেউ তার কাছে এলে তবেই মিলত ওই পুরিয়া। এই পাচার-চক্রে আর কারা জড়িত, মুন্নিকে গ্রেফতার করে তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এর আগে শিয়ালদহ স্টেশন এবং শিয়ালদহ উড়ালপুলের কাছ থেকে একাধিক মহিলাকে শিশু কোলে মাদক পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল নার্কোটিক্স বিভাগ। তাদের সঙ্গে মুন্নির যোগ আছে কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে।