ভেঙে গিয়েছে থাম। — শশাঙ্ক মণ্ডল
কোথাও দেওয়ালের চাঙড় ভেঙে পড়েছে। কোথাও নিকাশি-নালা উপচিয়ে জল জমে রয়েছে। বৃষ্টির জল চুঁইয়ে পড়ছে দোকানে। যত্রতত্র জমে রয়েছে বর্জ্য। এমনই অবস্থা লেক গার্ডেন্স সুপার মার্কেটের। কলকাতা উন্নয়ন সংস্থা (কেআইটি) নিয়ন্ত্রিত এই বাজারটি এলাকার অন্যতম পুরনো। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সংস্কারের জন্য বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।
কেন সংস্কার হয়নি বাজারের? কেআইটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মূলত অর্থের অভাবে আটকে গিয়েছে সংস্কার। সম্প্রতি এই কাজে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শীঘ্রই সেই কাজ শুরু হবে।
আশির দশকে তৈরি হয় এই বাজারটি। চারতলা বাড়ির একতলায় রয়েছে লেক গার্ডেন্স সুপারমার্কেট। বাকি তিনটি তলায় থাকেন বাসিন্দারা। ছ’টি ব্লকে রয়েছে ৯৯টি দোকান ও ১০৭টি স্টল। এ ছাড়াও অস্থায়ী দোকানে ব্যবসায়ীরা বসেন। বর্তমানে মোট ব্যবসায়ী প্রায় ৪০০ জন। কেআইটি সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগেই বাজারটি সম্পূর্ণ সংস্কারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু টাকার অভাবে এবং ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের জটে কর্তৃপক্ষকে পিছিয়ে আসতে হয়। পরে বাজারের খারাপ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কিছু জায়গায় সংস্কার করা হয়।
বাজারের বেহাল নিকাশির জন্য ক্রেতা-বিক্রেতারা প্রতি দিন নাজেহাল হন। নিয়মিত এই বাজারে আসেন চন্দন সেন। তিনি বলেন, ‘‘বাজারের যেখানে সেখানে আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকে। তবে বড় সমস্যা নিকাশি। কয়েক দিন আগে নালার জল উপচিয়ে বাজারে ঢোকার রাস্তা ভেসে গিয়েছিল।
মাঝে মধ্যেই মাছবাজার ও বিভিন্ন স্টলের সামনে দুর্গন্ধময় জল জমে থাকায় ক্রেতারা যেতে পারেন না। সমস্যায় পড়েন বাইরে থেকে বাজারে আসা ব্যবসায়ীরাও।
লেক গার্ডেন্স সুপারমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুলাল ঘোষ বলেন, ‘‘বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। সংস্কারের কথা বারবার বলা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বাজারের যে অংশে বাসিন্দারা থাকেন সেই অংশের মেরামতি করা হয়েছিল। কিন্তু বাজারের কোনও সংস্কার হয়নি। তবে সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দের কথা শুনেছি।’’ কেআইটি-র এক আধিকারিক জানান, সম্প্রতি লেক গার্ডেন্স বাজারের সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এ বার দরপত্রের মাধ্যমে কোনও সংস্থাকে মেরামতির বরাত দিতে হবে। এই প্রকল্পে বাজারটির এবং আবাসনের বাইরের অংশের সংস্কার করা হবে বলে কেআইটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।