Agitation

সাত দিনের বিল প্রায় আড়াই লাখ, উপরি ‘পাওনা’ বেডসোর!

ওই রাতেই মাকে সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট)-তে ভর্তি করেন শৌভিক। প্রথমে সিসিইউতে জায়গা পাওয়া যায়নি। পরে রাত একটা নাগাদ মেসেজ করে শৌভিকবাবুকে জানানো হয়, সিসিইউতে ট্র্যান্সফার করা হয়েছে মৃদুলাদেবীকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৭ ১৯:৫১
Share:

হাসপাতালে মৃদুলা চক্রবর্তী।—নিজস্ব চিত্র।

অসুস্থ মাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন রবিবার রাতে। কিন্তু, এক সপ্তাহ চিকিত্সা শেষে তাঁকে বাড়িতে আনার সময় দেখা গেল কোমরের নীচে বেডসোর হয়ে গিয়েছে। অথচ তা খেয়ালই করেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর সেই অবস্থাতেই বিল তৈরি-সহ রোগীকে ছেড়ে দেওয়ার সমস্ত জোগাড়যন্ত্র করে ফেলেছিলেন তাঁরা। বিলের পরিমাণ? দু’লাখ ৬৫ হাজার টাকা।

Advertisement

শনিবার কলকাতার মেডিকা হাসপাতালের বিরুদ্ধে এমনই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ করেছেন আড়িয়াদহের বাসিন্দা শৌভিক চক্রবর্তী। যদিও হাসপাতালের তরফে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

আরও পড়ুন: জলে নেমে নিখোঁজ সাঁতারু, রহস্য

Advertisement

শৌভিক এ দিন জানান, গত রবিবার রাত আটটা নাগাদ অসুস্থ মা মৃদুলা চক্রবর্তীকে তিনি নিয়ে আসেন মেডিকায়। সেখানে মৃদুলাদেবীকে পরীক্ষা করে চিকিত্সকেরা জানান, তাঁর লিভারে সমস্যা রয়েছে। যে কারণে তাঁর বিলিরুবিনও বেড়ে গিয়েছে। এমনকী, তাঁর মূত্রনালীতেও সংক্রমণ ছিল। তাঁকে ভর্তি করার কথা বলা হয়। এর পর ওই রাতেই মাকে সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট)-তে ভর্তি করেন শৌভিক। প্রথমে সিসিইউতে জায়গা পাওয়া যায়নি। পরে রাত একটা নাগাদ মেসেজ করে শৌভিকবাবুকে জানানো হয়, সিসিইউতে ট্র্যান্সফার করা হয়েছে মৃদুলাদেবীকে।

এর পর টানা এক সপ্তাহ ধরে তাঁর চিকিত্সা হয় সৌরেন পাঁজা এবং পিকে শেট্টি— এই দুই চিকিত্সকের তত্ত্বাবধানে। শৌভিকের দাবি, শুক্রবার রাতে তিনি সৌরেনবাবুকে জিজ্ঞেস করেন, মা-কে বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন কি না? ওই চিকিত্সক তাঁকে জানান, অবস্থা তেমন ভাল না হলেও বাড়ি নিয়ে গিয়ে ঠিকমতো পরিচর্যা করলেই তিনি স্বাভাবিক হয়ে উঠবেন। সেই মতো মা-কে বাড়ি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন তিনি।

এর পর তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘বিনা পয়সায় চিকিত্সা তো করাচ্ছিলাম না। প্রায় তিন লাখ টাকা ইতিমধ্যেই বিল হয়েছে। আমি তো পাড়ার যদু-মধুর নার্সিংহোমে চিকিত্সা করাতে পারতাম। ভাল পরিষেবা পেতেই তো এখানে এসেছিলাম মা-কে নিয়ে। কিন্তু, এত খরচ করেও এটা কোন ধরণের পরিষেবা!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন