কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও ডাক্তারি পরীক্ষায় দেরি

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকলেও হাসপাতাল তাতে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না— ফের এমন অভিযোগ উঠল বুধবার এম আর বাঙুর হাসপাতালের ঘটনায়। উদ্ধার হওয়া এক নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে গিয়ে পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হল তার পরিবার ও পুলিশকে।

Advertisement

অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৬ ০০:৩৭
Share:

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকলেও হাসপাতাল তাতে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না— ফের এমন অভিযোগ উঠল বুধবার এম আর বাঙুর হাসপাতালের ঘটনায়। উদ্ধার হওয়া এক নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে গিয়ে পাঁচ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হল তার পরিবার ও পুলিশকে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, জরুরি ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কোনও মহিলাকে নিয়ে এলে তাঁকে এত ক্ষণ বসিয়ে রাখা যাবে না। তা সত্ত্বেও বিকেল ৪টে থেকে বসিয়ে রেখে শেষে রাত ন’টা পনেরো নাগাদ ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় ওই মেয়েটিকে। ঘটনার ধাক্কা তো ছিলই, সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা বসিয়ে রাখায় মেয়েটি কিছুটা মানসিক ভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। আপাতত ‘নারী ও শিশুকল্যাণ সমিতি’র তত্ত্বাবধানে তাকে একটি হোমে রাখা রয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ২২ মে টালিগঞ্জ রোড থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। মেয়েটির পরিবার টালিগ়ঞ্জ থানায় অপহরণের ডায়েরি করে। এর পরে মঙ্গলবার মেয়েটিকে দক্ষিণ বন্দর এলাকার ডালপট্টিতে তাঁর এক বন্ধুর আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরে স্বাভাবিক ভাবেই মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে। অভিযোগ, বিকেল ৪টে নাগাদ হাসপাতালে উপস্থিত হলেও রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত বসিয়ে রাখা হয় তাকে। বারবার খোঁজ করতে গেলেও কখনও বলা হয় ডাক্তার ব্যস্ত, কখনও বলা হয়, ডাক্তার নিউ টাউনে আছেন এসে পরীক্ষা করবেন। এ ভাবে প্রায় ঘণ্টা পাঁচেক মেয়েটির পরিবার ও পুলিশকে ক্রমাগত বিভ্রান্ত করা হয় বলে অভিযোগ।

তবে হাসপাতালের সুপার অনুরাধা দেব বলেন, ‘‘আমরা ওঁদের প্রত্যাখ্যান করিনি। চিকিৎসকেরা ব্যস্ত ছিলেন, সেটা বলায় ওঁরাই অপেক্ষা করতে রাজি হননি। উল্টে আমাদের হুমকি দিচ্ছিলেন।’’ তাঁর দাবি, কেউ যদি মনে করেন, শুধু তার জন্যই হাসপাতালকে আগে ব্যবস্থা করতে হবে, সেটা সম্ভব নয়। ওই নাবালিকার বাবার অবশ্য অভিযোগ, ‘‘পুলিশ যথাসাধ্য সাহায্য করেছে। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দেননি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন