বিধাননগর পুরনিগমের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বৈঠক হল শুক্রবার। দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠক শেষে একটি খসড়া তালিকা তৈরি করেছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। সল্টলেকের সঙ্গে রাজারহাট-গোপালপুরকে মিশিয়ে নতুন পুরনিগম তৈরি করায় আসন সংখ্যা কমেছে। ফলে গত পুরবোর্ডের কাউন্সিলররাই শুধু নন, প্রাক্তন চেয়ারম্যান পারিষদদের সকলকে প্রার্থী করা যাবে না। এমনই ইঙ্গিত মিলেছে এ দিনের বৈঠকে। উল্লেখ্য, সল্টলেক, রাজারহাট এবং মহিষবাথান নিয়ে মোট ৪১টি ওয়ার্ড মিলিয়ে নতুন পুরনিগম হয়েছে বিধাননগরে।
এর আগে গত সপ্তাহে বিধাননগর পুরনিগমের প্রার্থী বাছাই নিয়ে শাসক দলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির নেতৃত্ব একদফা আলোচনায় বসেছিলেন। সেখানে অবশ্য সকলে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেননি বলেই সূত্রের খবর। একাধিক তালিকা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে জমা পড়ে। এ দিন সেই তালিকাগুলি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তার পরেও প্রাথমিক ভাবে একমত হতে পারেননি তাঁরা।
দলীয় সূত্রে খবর, সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন সিপিএম নেতা তাপস চট্টোপাধ্যায়, রাজারহাটের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত, বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, সাংসদ দোলা সেনের মতো হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের অনুগামীদের নাম ওই সব তালিকায় রয়েছে। ফলে কাকে রাখা হবে, কাকে বাদ দেওয়া হবে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে তৃণমূল ভবনে রাত গড়িয়ে যায়। বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখে একটি খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেন শীর্ষ নেতৃত্ব। দলীয় সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিলমোহর দিলেই ওই তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।