Pavlov Hospital

পাভলভে মানসিক রোগীকে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে

পাভলভ মানসিক হাসপাতালে মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীকে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৮ ২১:০৮
Share:

আহত শেখ সাইদি হাসান। (বাঁ দিকে) হাতে গুরুতর চোট পেয়েছেন সাইদি। নিজস্ব চিত্র।

মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে ওই যুবককে হেলমেট এবং বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারের অভিযোগ উঠল এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে।

Advertisement

সোমবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা থেকে কলকাতার পাভলভ হাসপাতালে ছেলে শেখ সাইদি হাসানকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন তার পরিবার। সাইদির বাবা সইদুল ইসলাম বলেন, “গত এক সপ্তাহ ধরে সাইদির পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছিল। সকালেই তাই আমরা ওকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছই।”

সঙ্গে ছিলেন সইদুলের ভাই বজলুর রহমান। তাঁর দাবি, আউটডোরে চিকিৎসকের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই খুব অস্থির হয়ে উঠেছিল সাইদি। গাড়ি থেকে নেমে হাসপাতালের সামনে নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য নির্দিষ্ট চেয়ারে বসার চেষ্টা করে। ওখানে তখন দু’জন পুলিশ কনস্টেবল ও এক জন সিভিক পুলিশকর্মী ছিলেন। বজলুরের অভিযোগ, “ওঁদের মধ্যে এক জন পুলিশকর্মী সাইদিকে চেয়ারে বসতে বাধা দেয়। তাতে আরও অস্থির আচরণ করতে শুরু করে সাইদি। এক পুলিশকর্মী ওঁর সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে যায়। দু’জনেই পরস্পরকে গালিগালাজ করতে থাকে। আমরা সাইদিকে সরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করি। তার মধ্যেই ওর সঙ্গে পুলিশকর্মীর ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।”

Advertisement

আরও পড়ুন: আট বছর ধরে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি থেকে পাচার হত অস্ত্র! জেরায় জানাল ধৃতেরা

সাইদির পরিবারের অভিযোগ, এর পরেই মারমুখী হয়ে ওঠেন ওই পুলিশকর্মীরা। প্রথমে হেলমেট দিয়ে সাইদিকে মারেন। তার পর রাস্তায় পড়ে থাকা একটা বাঁশ তুলে মারতে শুরু করে সাইদিকে। বজলুরের কথায়, “কোনও রকমে আমরা ওই পুলিশকর্মীকে সরাই। হাসপাতালের কর্মী এবং চিকিৎসকরাও আসেন। তাঁদেরকেও আমরা গোটা বিষয়টি জানাই।”

আরও পড়ুন: টার্গেট মহিলারাই, রাতের শহরে ‘অ্যাসিড গ্যাং’-এর তাণ্ডব

কলকতা পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ-পূর্ব ডিভিশন) কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “কোনও পুলিশকর্মী পাভলভের রোগীকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাইনি। বরং এক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী রিজার্ভ ফোর্সের এক কর্মীর ওপর চড়াও হয়। ওই পুলি‌শ কর্মীর হাতে আঘাত লেগেছে। তবে ওই পরিবারের যদি কোনও বক্তব্য থাকে, তারা অভিযোগ জানাতেই পারেন।”

পাভলভ হাসপাতালের সুপার গণেশ প্রসাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, “এ রকম একটা ঘটনা আমরা শুনেছি। তবে ওই রোগীর গুরুতর কোনও আঘাত লাগেনি। আমি নিজে তাকে পরীক্ষা করেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন