Molestation

পাটুলিতে বাড়ির সামনে মত্ত যুবকদের হাতে শ্লীলতাহানি, বেধড়ক মারধর কলেজ ছাত্রীকে

একদল মত্ত যুবকের কাছে নিগৃহীত হলেন তরুণ-তরুণী। কী এমন ঘটেছিল?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৬:১৬
Share:

নিগৃহীত তরুণ ও তরুণী। —নিজস্ব চিত্র।

বাড়ির সামনে মত্ত অবস্থায় নিজেদের মধ্যে মারপিট করছিল কয়েকজন যুবক। সেই সময়ে নিজের হবু স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন ২৩ বছরের কলেজ ছাত্রী। ওই যুবকদের বাড়ির সামনে থেকে সরে যেতে বলেন ছাত্রীর সঙ্গী যুবক অমিত বসাক। আর তাতেই বিপত্তি।

Advertisement

অভিযোগ, প্রতিবাদ করতেই মারমুখী হয়ে ওঠে ওই যুবকরা। অমিতকে বেধড়ক মারধর করে। অভিযোগ, বাধা দিতে গেলে শ্লীলতাহানি করে রাস্তায় ফেলে মারা হয় ওই তরুণীকেও। পাটুলি থানায় করা অভিযোগে ওই তরুণী জানিয়েছেন, তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে মত্ত যুবকদের হাতে মার খেতে হয় মা এবং ষাটোর্ধ্ব দিদিমাকেও।

ঘটনাটি ঘটেছে পাটুলি থানা এলাকার রবীন্দ্র পল্লীতে। আশুতোষ কলেজের ভূগোল সাম্মানিকের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী বলেন, “মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ নাগাদ অমিতের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলাম। আমাকে বাড়ি পৌঁছে বাঘাযতীনে নিজের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল অমিতের। বাড়ি ঢোকার মুখে দেখি চারজন ছেলে মদ খাচ্ছে আর নিজেদের মধ্যে গালিগালাজ করে মারপিট করছে।”

Advertisement

ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন

আরও পড়ুন: দেহব্যবসায় নামতে না চাওয়ায় তরুণীকে মার, বাঁচাতে এলেন আর এক তরুণী

নিগৃহীতা তরুণীর অভিযোগ,“আমাকে দেখেই ওদের একজন নোংরা মন্তব্য করে। শুনে প্রতিবাদ করে অমিত। সঙ্গে সঙ্গে ওরা সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়ে অমিতের উপর।” থানায় ওই তরুণী তদন্তকারী আধিকারিকদের জানিয়েছেন, অমিতকে ওই চার যুবক সামনের একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। অমিতের মাথায় মুখে আঘাত লাগে।অমিত এখনও একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই তরুণী বলেন,“আমি অমিতকে বাঁচাতে গেলে ওরা আমাকেও রাস্তায় ফেলে মারে। আমার চোখে আঘাত লাগে। কয়েক মাস আগেহায়দরাবাদেওই চোখেই অস্ত্রোপচার হয়েছিল।” তত ক্ষণে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন তরুণীর মা এবং দিদিমা। তাঁদেরও রেয়াত করেনি অভিযুক্ত যুবকরা। পাটুলি থানায় অভিযুক্ত যুবকদের নামও জানিয়েছেন ওই তরুণী। তিনি বলেন,“এরা সবাই স্থানীয়। এদের নাম প্রদীপ ঘোষ ওরফে পুচকা, বিশ্বদীপ দাস, সোমনাথ এবং অমিত দাস ওরফে রিঙ্কা।”

আরও পড়ুন: ইস্ট-ওয়েস্ট সুড়ঙ্গ ফের বাধা পেল এক স্তম্ভে

মঙ্গলবার রাতেই ওই চার যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী। রাতেই এক অভিযুক্ত প্রদীপ ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিরা যদিও এখনও অধরা। এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন,“আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১,৩২৩,৩২৪,৩৫৪ এবং ১১৪ ধারায় মামলা করা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement