গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে টাকা-মোবাইল-গয়না চুরির অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার রাতের এই চুরির ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, গরফা রামলাল বাজারের কাছে থানা থেকে এক কিলোমিটার দূরে ওই বাড়ি থেকে কয়েক হাজার টাকা, পাঁচটি মোবাইল ও কয়েক ভরি গয়না চুরি গিয়েছে।
গরফা মেন রোডের ওই বাড়িটি রেলের কর্মী কবীর মজুমদারের পৈতৃক বাড়ি। পুলিশ জানায়, তিনতলা বাড়ির নীচের তলায় তাঁর মা ও বড় দাদা থাকেন। উপরের তলায় মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে দু’টি ঘরে থাকেন কবীরবাবু। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার গভীর রাতে আচমকা গলায় চাপ প়ড়তেই তাঁর স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দেখেন, গলা থেকে সোনার হার উধাও। এর পরেই চিৎকার করে মেয়েকে ঘুম থেকে তোলেন। পাশের ঘরে কবীরবাবু ঘুমিয়েছিলেন। দু’টি ঘরের মাঝখানে একটি দরজা রয়েছে। কবীরবাবুর স্ত্রী ও মেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখেন, সেই দরজার ছিটকিনি আটকানো।
পুলিশ জানায়, ওই বাড়ির দোতলার বারান্দায় জানলার পাশে একটি দরজা রয়েছে। জানলা ও দরজার মধ্যে দূরত্ব খুব কম। তাই ওই জানলার ফাঁক দিয়ে হাত গলিয়ে দুষ্কৃতীরা দরজার ছিটকিনি খুলে ঢুকেছে বলে পুলিশের অনুমান। কবীরবাবুর স্ত্রী রিমা মজুমদারও রেলে কর্মরত। মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত তাঁদের মেয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। কবীরবাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, স্ত্রীর গলা থেকে দুষ্কৃতীরা সোনার হার টেনে ছিঁড়ে ফেলার পরেই ঘুম ভেঙে যায় তাঁর স্ত্রীর। কিন্তু কবীরবাবু যাতে ঘটনাটি টের না পান, সে জন্যই চুরির সময়ে দুষ্কৃতীরা দু’টি ঘরের মাঝখানের দরজায় ছিটকিনি দিয়েছিল। কবীরবাবুর আক্ষেপ, ‘‘জন্ম থেকে এই বা়ড়িতে রয়েছি। এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। আতঙ্ক লাগছে।’’
বাড়িটিতে কাজ করেন দু’জন পরিচারিকা। তদন্তে নেমে পুলিশ তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে।