ঘটনাস্থলে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র
ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য টাকা গোনা চলছিল অফিসে। আচমকা গামছায় মুখ ঢেকে হুড়মুড়িয়ে ঘরে ঢুকল দুই যুবক। এক জন রিভলভার দেখিয়ে সমস্ত টাকা লুঠ করে চম্পট দিল। প্রায় পিছনে পিছনেই অন্য জন ঘরে ঢুকে টাকা না পেয়ে মারধর করল এক কর্মচারীকে। একই সময়ে পাশের ঘরে সংস্থার এক মালিককে মারধর করে তাঁর হার, আংটি এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে পালায় আরও দুই দুষ্কৃতী। সোমবার বিকেলে জো়ড়াবাগান থানার স্ট্র্যান্ড রোডে একটি ভোজ্য তেলের দোকানে ঘটনাটি ঘটে। দোকান-মালিকের অভিযোগ, নগদ, গয়না এবং জিনিসপত্র মিলিয়ে লুঠের পরিমাণ সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, দোকানের দোতলায় ভোজ্য তেলের অফিস। অভিযোগ, বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই মালিক ও ক্যাশিয়ারের ঘরে মুখ ঢাকা বেশ কয়েক জন যুবক ঢুকে পড়ে। প্রথমে ক্যাশিয়ারের ঘরের টেবিল থেকে ৪ লক্ষ টাকা লুঠ করে বন্দুকধারী দুষ্কৃতী। এর পরে দ্বিতীয় জন এসে ছুরি দেখিয়ে ড্রয়ার খুলে দেখাতে বলে। ইতিমধ্যে মালিকের উপরে চড়াও হয় আরও দু’জন।
দোকানের এক কর্মচারী রামগোপাল মোদী বলেন, ‘‘দ্বিতীয় জন কিছু না পেয়ে ক্যাশিয়ার বাবুকে থাপ্পড় মারে। আরও দু’জন পাশের ঘরে গিয়ে মালিককে মারধর করতে থাকে। ভয়ে আমরা চিৎকার করতেও পারিনি।’’ আক্রান্ত দোকান-মালিক প্রকাশ অগ্রবালের কথায়, ‘‘ঘরে বসে এক জনের সঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎই ওরা ঘরে ঢুকে রিভলভার দেখিয়ে সব ছিনিয়ে নিল।’’
খবর পেয়ে আসে জো়ড়াবাগান থানার পুলিশ। পৌঁছন ডিসি (উত্তর) শুভঙ্কর সিংহ সরকারও। জনবহুল এলাকায় দিনের আলোয় এ ভাবে ডাকাতি হল, অথচ কেউ দেখতে পেল না কেন— তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে দুষ্কৃতীদের স্কেচ আঁকানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডিসি (উত্তর) বলেন, ‘‘চার জন দুষ্কৃতী মুখ ঢেকে দোকানে ঢুকে প্রায় সাড়ে ছ’লক্ষ টাকা লুঠ
করে পালায়। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে আমরা এখনও কিছু পাইনি। এখনও পর্যম্ত কেউ গ্রেফতারও হয়নি।’’