বইমেলায় মশা-আতঙ্ক, চিন্তায় পুরসভা

বইমেলা প্রাঙ্গণের পাশেই রয়েছে সেন্ট্রাল পার্কের বনবিতান। যেখানে মেলা প্রাঙ্গণের ধার ঘেঁষেই রয়েছে ঝোপ-জঙ্গল। ফলত বইমেলায় মশার উপদ্রবের আশঙ্কা করছেন পুরকর্তা থেকে বইমেলার উদ্যোক্তা- সকলেই। বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলার উদ্বোধন করেছেন।

Advertisement

কাজল গুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৫
Share:

বইমেলায় মশা মারতে কামান। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

দুই প্রান্তের খালে জল সরে না। অভিযোগ, তার জেরে এলাকায় মশার দাপট বেড়েছে। এমনই পরিস্থিতিতে সল্টলেকে শুরু হল কলকাতা বইমেলা। ফলে দর্শকদের মশার কামড় খাওয়া কী করে ঠেকানো যায় তা নিয়ে উদ্বেগে বিধাননগর পুরসভার কর্তারা। খাল পরিষ্কারের জন্য রাজ্যের সেচ দফতর ও নগরোন্নন দফতরের কাছে পুরসভার তরফে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। সল্টলেকে মশা যে বেড়েছে তা মেনে নিয়েছেন পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়ও। একইসঙ্গে তিনি জানান, বইমেলায় মশার দাপট ঠেকাতে প্রতিদিন সেখানে বিশেষ কর্মসূচি নেওয়া হবে।

Advertisement

বইমেলা প্রাঙ্গণের পাশেই রয়েছে সেন্ট্রাল পার্কের বনবিতান। যেখানে মেলা প্রাঙ্গণের ধার ঘেঁষেই রয়েছে ঝোপ-জঙ্গল। ফলত বইমেলায় মশার উপদ্রবের আশঙ্কা করছেন পুরকর্তা থেকে বইমেলার উদ্যোক্তা- সকলেই। বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলার উদ্বোধন করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, আগামী এক-দু’ দিন পর থেকেই জমে উঠতে শুরু করবে বইমেলা। প্রতিদিন স্থানীয় দর্শক ছাড়াও আসবেন অজস্র বিদেশি নাগরিক। মশার কামড়ে তাঁরা সমস্যায় পড়লে পুর পরিষেবা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে পুরকর্তাদেরই। বিষয়টি আঁচ করেই সম্প্রতি পুরসভার তরফে খাল পরিষ্কারের জন্য দুই সরকারি দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

মেয়র পারিষদ প্রণয়বাবু বলেন, ‘‘মশার উপদ্রব বেড়েছে। খাল পরিষ্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দুই দফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মশা তাড়াতে পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রতিদিন বইমেলাতেও মশা তাড়ানোর কাজ করা হবে।’’ পুরসভার দাবি, বৃহস্পতিবার থেকে তারা বইমেলায় সাফাইয়ের কাজের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সেখানে মশা তাড়াতে তেল ও ধোঁয়া দেওয়া শুরু হয়েছে। তার জেরে বৃহস্পতিবার উদ্বোধনের দিন থেকেই মশার উপদ্রব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা গেছে বলেই দাবি পুরকর্তাদের। একইসঙ্গে গত কয়েক দিন ধরে মেলা মাঠে যে দুর্গন্ধ ছড়ানোর সমস্যা ছিল তাও দূর করা গিয়েছে বলেই দাবি পুরসভার মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল ও নিকাশি) দেবাশিস জানার।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘‘আবর্জনা তোলার পরে এক ধরনের গাছের রস ছড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি চুন ও ব্লিচিংও ছড়ানো হয়। তাতেই দুর্গন্ধ কমে গিয়েছে।’’

স্থানীয় সূত্রের খবর ছিল, ব্রিগেডে যোগ দিতে আসা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মেলা প্রাঙ্গণে রাখা হয়েছিল। তাঁদের অনেকের খাবার-দাবারের আবর্জনা কিংবা প্রাকৃতিক কাজ সারার কারণে মাঠে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দাবি, ওই সব দলীয়কর্মীদের জন্য অস্থায়ী শৌচাগার তৈরি করা হয়েছিল। তাঁদের কারণে মাঠ নোংরা হয়নি। আবর্জনাও গাড়িতে করে অন্যত্র ফেলা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন