জমে রয়েছে জল। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য।
করুণাময়ীর নির্মীয়মাণ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সিঁড়ির পাশে দীর্ঘ দিন ধরে জল জমে আছে। সেখানেই জন্মাচ্ছে মশা। সল্টলেক জুড়ে এ ভাবেই তৈরি হয়েছে বেশ কিছু মশার আঁতুড়। অভিযোগ, বাড়ছে মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। সম্প্রতি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বিধাননগর কমিশনারেটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেবাশিস ধর এবং ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পিনাকী রায়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভা থাকাকালীন নিয়মিত ব্লকে ব্লকে মশার তেল স্প্রে করা, জঙ্গল কাটা, বাড়ি বাড়ি মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে সচেতনতার প্রচার এবং তথ্য সংগ্রহ করা হত। কিন্তু পুরসভার মেয়াদ শেষের পরেও সেই সব পরিষেবা মিলছে না। ফলে মশার প্রকোপ বেড়েছে। বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। অভিযোগ অস্বীকার করে বিধাননগর পুর-নিগমের আধিকারিকদের একাংশ জানান, মশা তাড়ানোর কাজের অর্ডার এখনও দেওয়া হচ্ছে। তবে বাস্তবে সে কাজ হচ্ছে কি না তা নিয়ে নজরদারিতে সমস্যা থাকছে।
সল্টলেকের বিস্তীর্ণ এলাকায়মেট্রোর কাজ হচ্ছে। কিছু জায়গায় বর্ষায় জমে থাকা জল সরানোর ব্যবস্থা হয়নি। সেখানে আবর্জনা জমে অস্বাস্থ্যকর অবস্থা। একই ছবি নির্মীয়মাণ বাড়ি, একাধিক সরকারি অফিসের। কেষ্টপুর খাল ও ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল লাগোয়া এলাকায় মশার প্রকোপ বেড়েছে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের এক কর্তা জানাচ্ছেন, সল্টলেকের দিকে ফ্লাইওভারের উপরে নিয়মিত নজরদারি চলে। সেখান থেকে বর্ষার জল সরানো হয়েছে। এ ছাড়াও ব্লিচিং ছড়ানোর পাশাপাশি মশা তাড়ানোর কাজ হচ্ছে। তবে ফ্লাইওভারের নীচের অংশ বিধাননগর পুরসভাকে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখানে পুরসভারই কাজ করার কথা।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরিষেবায় সমস্যা হচ্ছে। কার কাছে অভিযোগ জানাতে হবে সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের একটি সংগঠনের কর্তা কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, ‘‘প্রশাসকরা অর্ডার দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছেন। সেই কাজ হচ্ছে কি না, তা দেখার ব্যবস্থাই নেই। জনপ্রতিনিধির নজরদারি ছাড়া পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়া অসম্ভব।’’
এই প্রসঙ্গে বিধাননগরের বিধায়ক তথা বোর্ড অব অ্যাডমিনিষ্ট্রেশনের সদস্য সুজিত বসু বলেন, ‘‘বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্যান্য পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি মশা তাড়ানোর কাজও তালিকায় রয়েছে। পুজোর আগেই কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’