স্ক্যানার বিকল বহু মেট্রো স্টেশনেই

শুধু টালিগঞ্জ নয়, এক ডজনেরও বেশি স্টেশনে এখন স্ক্যানার অকেজো বলে মেট্রো সূত্রের খবর। নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত ২৪টি স্টেশন। নোয়াপাড়া চালু হওয়ার আগেই স্টেশন-পিছু একটি, অর্থাৎ ২৩টি স্ক্যানার বসানো হয়েছিল। দু’-তিন বছর পর থেকেই একটির পর একটি খারাপ হতে শুরু করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৭ ০৩:৩৬
Share:

মাঝখানে কিছু দিন কড়া ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। এখন আবার যে কে সে-ই।

Advertisement

এক্স-রে ব্যাগেজ স্ক্যানারে ব্যাগ দিয়ে তবেই মেট্রোর যাত্রীরা স্মার্ট কার্ড বা টোকেন পাঞ্চ করতে পারছিলেন টালিগঞ্জ স্টেশনে। বছর দুয়েক অকেজো থাকার পরে সম্প্রতি ফের ওই স্টেশনের স্ক্যানার কাজ শুরু করেছিল। স্ক্যানারে ব্যাগ দেওয়ার ফলে কিছুটা দেরির জন্য ট্রেন চলে গেলে যাত্রীদের একাংশ প্রথম প্রথম বিরক্ত হতেন ঠিকই, পরে তাঁরা বুঝতে পারেন, নিরাপত্তার জন্য এটা জরুরি। তবে সারিয়ে আসতে না আসতেই আবার বিকল সেই যন্ত্র।

শুধু টালিগঞ্জ নয়, এক ডজনেরও বেশি স্টেশনে এখন স্ক্যানার অকেজো বলে মেট্রো সূত্রের খবর। নোয়াপাড়া থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত ২৪টি স্টেশন। নোয়াপাড়া চালু হওয়ার আগেই স্টেশন-পিছু একটি, অর্থাৎ ২৩টি স্ক্যানার বসানো হয়েছিল। দু’-তিন বছর পর থেকেই একটির পর একটি খারাপ হতে শুরু করে।

Advertisement

কোনও স্টেশনে দু’বছর, কোথাও দেড় বছর বিকল থাকার পরে এই বছরের গোড়ায় সেগুলি সারানো হয়েছিল। এখন ফের বিগড়েছে। কিন্তু মেরামতির পরে এত তাড়াতাড়ি এই অবস্থা হল কেন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ। এই স্ক্যানারের রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামতি কিংবা নতুন স্ক্যানার কেনার দায়িত্ব সিগন্যাল অ্যান্ড ট্র্যাফিক বিভাগের।

বর্তমান পরিস্থিতিতে মেট্রো স্টেশনের মতো জায়গায় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এক্স রে স্ক্যানারকে এক রকম অপরিহার্য বলে ধরা হয়। অথচ, এক বার খারাপ হলে মাসের পর মাস অকেজো থাকছে ওই সরঞ্জাম। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে ডোর ফ্রেম মেটাল ডিটেক্টরের মধ্যে দিয়ে যাত্রীদের ঢোকা বাধ্যতামূলক করে আর হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ব্যাগ পরীক্ষার মাধ্যমে।

মেট্রো রেলের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘স্ক্যানারের এমন কিছু যন্ত্রাংশ খারাপ হয়েছে, যেগুলি পাওয়া যাচ্ছে না। সমস্যা সম্ভবত সেই জন্যই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন