—প্রতীকী চিত্র।
বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল মা এবং পুত্রের দেহ। বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে মঙ্গলবার দুপুরে দু’জনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কী ভাবে দু’জনের মৃত্যু হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ কুণাল দাস নামে এক ব্যক্তি বাসদ্রোণী থানায় ফোন করেন। তিনি জানান, তাঁর এক আত্মীয় শিলা দাশগুপ্তের ফ্ল্যাট ভিতর থেকে বন্ধ। বার বার ডাকাডাকিতেও সাড়া দিচ্ছেন না। শুধু তা-ই নয়, বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বার হচ্ছে বলেও পুলিশকে জানান কুণাল।
খবর পাওয়ার পরেই একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। তারা দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। দেখা যায়, ফ্ল্যাটের মধ্যে দু’জনের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। দেহে পচন ধরতে শুরু করেছে। সঙ্গে সঙ্গে দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শিলা তাঁর পুত্র সুতীর্থ দাশগুপ্তকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। তবে বছর দেড়েক আগে তাঁরা ওড়িশা থেকে এসেছিলেন। সুতীর্থ মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। শিলারও দিন কয়েক আগে মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তাঁর স্বামী ওড়িশার এক কলেজে অধ্যাপনা করতেন। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্বামীর মৃত্যুর পর পুরীর বাড়ি বিক্রি করে কলকাতায় চলে আসেন মা এবং পুত্র। প্রাথমিক তদন্তের পরে জানা গিয়েছে, মা-পুত্রের দেহের পাশে খালি ওষুধের পাতা পড়ে ছিল। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, তিন-চার দিন তাঁদের ফ্ল্যাটের বাইরে দেখা যায়নি তাঁদের।