BJP

শুভেন্দু আসার আগে হেস্টিংসে গোলমাল, বিক্ষোভ তৃণমূলের, মাঠে বিজেপি-ও

ঘটনার সূত্রপাত সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া সাংসদ সুনীল মণ্ডল হেস্টিংসে বিজেপি-র প্রধান নির্বাচনী দফতরে আসার পথে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ ১২:০৩
Share:

চলছে ধস্তাধস্তি, উত্তেজনা হেস্টিংসে। —নিজস্ব চিত্র।

শুভেন্দু অধিকারী-সহ তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া নেতাদের পৌঁছনোর আগে হেস্টিংসে বিজেপি-র প্রধান নির্বাচনী দফতরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করল তৃণমূল। যার পাল্টা মাঠে নামল বিজেপি-ও। শনিবার দুপুরে দু’পক্ষের বিক্ষোভ এবং পাল্টা বিক্ষোভে এলাকায় বচসা বেধে যায়। প্রাথমিক ভাবে অবস্থা সামলাতে চেষ্টা করেও পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে পারেনি হেস্টিংস থানার পুলিশ। কারণ, এমন বিক্ষোভ যে হতে পারে, তার আগাম কোনও আঁচ ছিল না। দু’পক্ষের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। কিছুক্ষণ পরে পুলিশ অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে তারা। তবে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। বাড়তি পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া সাংসদ সুনীল মণ্ডল ওই দফতরে আসার পথে। সকাল থেকেই বিজেপি দফতরের অদূরে মঞ্চ বেঁধে, মাইক বাজিয়ে তৃণমূলের একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল। সুনীলের গাড়ি তার কাছাকাছি পৌঁছতেই কিছু তৃণমূলকর্মী তাঁর গাড়িটি আটকে দেন। সুনীলের গাড়ি ঘিরে ধরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সরাতে চেষ্টা করলেও সংখ্যা কম থাকায় তারা সেটা করতে পারেনি। ততক্ষণে অকুস্থলে এসে পৌঁছে যান বিজেপি-র কর্মী-সমর্থকরাও। পরে বাড়তি পুলিশ এনে সুনীলের গাড়ি ঘেরাওমুক্ত করা হয়। তিনি দফতরে প্রবেশ করতে পারেন।

শনিবারের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা শুভেন্দু-সহ মোট ৪৩ জনের। ততক্ষণে ওই দফতরে একে একে এসে পৌঁছতে শুরু করেছেন সাংসদ অর্জুন সিংহ, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। এসেছেন তথাগত রায়ও। তার কিছুক্ষণ আগেই দফতরে ঢুকে গিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষরা। কিন্তু তখনও এসে পৌঁছননি শুভেন্দু। অর্জুন-লকেট-তথাগতরা প্রত্যেকেই ‘পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা’র নিন্দা করেন। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশের ‘মদতে’ই গোটা ঘটনাটা ঘটেছে। তৃণমূলের ওই বিক্ষোভ সভার কোনও পরিকল্পনা আগে থেকে ছিল না। বিজেপি-র বৈঠক আছে বলেই ওই সভা করা হয়েছে। যাতে বিজেপি-র বৈঠকের আগে ‘পরিকল্পিত ভাবে’ বিক্ষোভ দেখানো যায়। বস্তুত, তাঁরা শনিবারের ঘটনাকে জেপি নড্ডার কনভয় যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে সভা করে ‘প্ররোচনা’ এবং পর্যায়ক্রমে হামলার ঘটনার সঙ্গে তুলনা করছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: আর্থিক বৃদ্ধিতে আমেরিকাকে টপকে ১ নম্বরে চিন! তিনে উঠে আসতে পারে ভারত​

ঘটনাস্থলে উপস্থিত তৃণমূল সমর্থকেরা বলেন, তাঁরা নতুন কৃষি আইন এবং পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। চড়াসুরে মাইকও বাজানো হচ্ছিল। কিন্তু ওই সভামঞ্চ কেন বিজেপি দফতরের অদূরে করা হল, তার কোনও সদুত্তর তাঁরা দিতে পারেননি। তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘এটা এলাকার লোকের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ। সুনীল দু’বার দলের টিকিটে জিতেছেন। তার পর দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তাই দলের কর্মী-সমর্থকরা তাঁর গাড়ি আটকে স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পরিকল্পনা করে কিছু করা হয়নি।’’ সৌগত আরও জানান, পুলিশ মোটেই ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিল না। তারা তাদের কর্তব্য যথাবিহিত পালন করেছে।

আরও পড়ুন: আজ বৈঠক কৃষক সংগঠনগুলির, সরকারের প্রস্তাবে সাড়া দেওয়া নিয়ে জল্পনা​

এখন দেখার, শুভেন্দু ওই দফতরে এসে পৌঁছলে তৃণমূল আবার বিক্ষোভ দেখায় কি না। তারা বিক্ষোভ দেখালে বিজেপি পাল্টা কিছু করে কি না। এবং গোটা ঘটনায় এলাকায় আবার উত্তেজনা ছড়ালে তার রেশ কোথায় পৌঁছয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন