পুজোর মুখে বৃষ্টি নিয়ে ভয়ে রয়েছেন বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তারা। তার চেয়েও বেশি চিন্তায় প্রশাসন। ইতিমধ্যেই মশাবাহিত রোগের প্রকোপ ছড়িয়েছে। পুজোর মরসুমে তা প্রতিরোধে এ বার মণ্ডপে নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধাননগর পুর প্রশাসন। পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে নিয়েই রোগ প্রতিরোধের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
পুরকর্মীদের কথায়, মণ্ডপ চত্বরে ডাঁই করে রাখা বাঁশ-সহ অন্য সামগ্রীর মধ্যে জমা জল থাকলেই সমস্যা। পুরসভার পাশাপাশি, পুজো কমিটিগুলিকেও এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে আবেদন করা হচ্ছে। তবে পুজো চলাকালীন এবং পুজোর পরেও এ নিয়ে বিশেষ অভিযান বজায় রাখা হবে বলে খবর। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, বর্ষার মরসুমেই পুজো। তাই উদ্যোক্তাদের নিয়ে বৈঠকের পাশাপাশি মণ্ডপ চত্বর ঘিরে মশা নিয়ন্ত্রণে কী ভাবে জোর দেওয়া যায় তা নিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফের ভাঙল বাড়ি, এ বার বড়বাজারে
বিধাননগর পুর এলাকায় ফি বছর কয়েকশো পুজো হয়। এক পুরকর্তা জানান, পুজোর পরেও কিছু দিন ধরে পুজো চত্বরে নানা সামগ্রী ইতস্তত পড়ে থাকে। বিসর্জনের ঘাটগুলিতেও ছবিটা কমবেশি একই থাকে। এ বার সে দিকে রাশ টানার কথা ভাবা হচ্ছে।
পুর এলাকায় এ বার মশাবাহিত রোগের প্রকোপ সে ভাবে দেখা না গেলেও পাশের পুর এলাকাগুলিতে ইতিমধ্যে বহু মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। বিধাননগর আবাসন এলাকা, অফিসপাড়া, এমনকী স্বাস্থ্য ভবন চত্বরেও মশার লার্ভা মিলেছে। তাই কোনও দিকেই আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না পুরকর্তারা।