মাধ্যমিক পরীক্ষার ডিউটি, আতঙ্কে পুর আধিকারিকেরা

পুরসভার ইতিহাসে কখনও এমনটা ঘটেনি বলেই জানাচ্ছেন পুরকর্তারা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। কলকাতার ১৭৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে ১৫৯টিতে ইন-চার্জ হিসেবে থাকতে হবে পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ডেপুটি ম্যানেজার পদের অফিসারদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:০৭
Share:

মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রের ইন-চার্জ হবেন কলকাতার পুরসভার অফিসার!

Advertisement

পুরসভার ইতিহাসে কখনও এমনটা ঘটেনি বলেই জানাচ্ছেন পুরকর্তারা। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। কলকাতার ১৭৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রের মধ্যে ১৫৯টিতে ইন-চার্জ হিসেবে থাকতে হবে পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ডেপুটি ম্যানেজার পদের অফিসারদের। ওই বার্তা পৌঁছতেই প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন পুরসভার ওই পদের বেশ কয়েক জন অফিসার। তবে সরকারি নির্দেশ বলে অগ্রাহ্য কিংবা তার বিরোধিতাও করতে পারছেন না। তাঁদের কথায়, ‘‘পরীক্ষার মতো ব্যাপার। ওই ধরনের কাজের কোনও অভিজ্ঞতাই নেই। কোনও গন্ডগোল হলে সামলানো দায় হবে।’’

পুরসভা সূত্রের খবর, স্কুলশিক্ষা সচিব মণীশ জৈন সম্প্রতি কলকাতা পুর প্রশাসনের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের ইন-চার্জের জন্য অফিসার চেয়েছেন। তাতে লেখা রয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিবের নির্দেশে এ বার মাধ্যমিকের সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে এক জন করে সরকারি অফিসারকে ইন-চার্জ হিসেবে নিয়োগ করতে হবে। যা বাধ্যতামূলক। কলকাতা জেলা স্কুল পরিদর্শক অফিস থেকে জানানো হয়েছে, তাঁদের কাছে অত সংখ্যক অফিসার নেই। তাই কলকাতা পুরসভার দ্বারস্থ হতে হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, কলকাতা জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে মাত্র ১৯ জন অফিসার পাওয়া গিয়েছে। বাকি ১৫৯ জন কলকাতা পুরসভাকে দিতে বলা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার পর পুর প্রশাসন পুরো তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছে ঠিকই। তবে জবাবে এ-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কলকাতা পুরসভার অফিসারেরা সরাসরি রাজ্য সরকারি অফিসার (গভর্নমেন্ট অফিসিয়াল) নন। স্বভাবতই, বিষয়টি নিয়ে ধন্দও তৈরি হয়েছে।

Advertisement

তবে ওই কাজে পুর অফিসারদের কারও কারও আপত্তি নিয়ে চিন্তিত পুর প্রশাসনও। যদিও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানান, ওই অফিসারদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। কী কাজ করতে হবে, কোথায় থাকতে হবে তা নিয়ে সকলকেই পরীক্ষার আগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আজ শুক্রবার কলকাতায় তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতে পারে বলে স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement