কেন অধরা দু’জন, ক্ষুব্ধ পরিবার

স্নাতকোত্তরের পরে দর্শন নিয়ে গবেষণা করতে চেয়েছিলেন তানিয়া। কিন্তু উচ্চশিক্ষায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামী, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইকবাল আলির বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:৫১
Share:

তানিয়া অগ্নি আলি

ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে চার মাস। তদন্তের অগ্রগতি বলতে শুধু স্বামীকে গ্রেফতার এবং আদালতে চার্জশিট পেশ। কিন্তু প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী তানিয়া অগ্নি আলির (২৮) অস্বাভাবিক মৃত্যুতে অভিযোগ উঠেছিল শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধেও। এখনও পর্যন্ত পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার না করায় ক্ষুব্ধ ওই তরুণীর পরিবার।

Advertisement

স্নাতকোত্তরের পরে দর্শন নিয়ে গবেষণা করতে চেয়েছিলেন তানিয়া। কিন্তু উচ্চশিক্ষায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর স্বামী, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইকবাল আলির বিরুদ্ধে। অশান্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে ইকবালই তানিয়াকে পুড়িয়ে মেরেছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর বাবা গোলাম ছাত্তার গাজি। ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর, রাজারহাটের দাসপাড়ায়।

রবিবার ছাত্তার জানান, বিয়ের আগে বলা হয়েছিল তানিয়া গবেষণার পাশাপাশি চাকরিও করতে পারবে। কিন্তু তাঁর অভিযোগ, বিয়ের পরে উল্টো অবস্থান নেয় মেয়ের শ্বশুরবাড়ি। চাকরি তো দূর, উচ্চশিক্ষার প্রসঙ্গ তুলতেই অশান্তি শুরু হয়। দাবি মতো ১০ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় মেয়ের উপরে নির্যাতন চালানো হত বলেও অভিযোগ বাবার।

Advertisement

ওই ঘটনার পরে দফায় দফায় পথে নেমেছিলেন প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা। অভিযুক্তদের সকলকে গ্রেফতার করা এবং শাস্তি দেওয়ার দাবিও জানানো হয়। তার পরেও শুধু ইকবাল গ্রেফতার হওয়ায় ক্ষুব্ধ তাঁরাও। এ দিনও ছাত্তার বলেছেন, ‘‘তানিয়ার এক ছেলে, এক মেয়ে। তাদের যারা মায়ের ভালবাসা পাওয়া থেকে বঞ্চিত করল, তাদের কঠোর শাস্তি চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন