বচসার জেরে দাদাকে ‘খুন’ করে গ্রেফতার

বচসা থেকে হাতাহাতি। আর তার জেরেই দাদাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাতে বালিগঞ্জ গার্ডেন্সের ঘটনা। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৩)। খুনের অভিযোগে রাতেই গ্রেফতার হয়েছেন সুদীপবাবুর মেজো ভাই রণদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ময়না-তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের পাঁজর ভাঙা। মাথা-সহ শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ০০:১৪
Share:

বচসা থেকে হাতাহাতি। আর তার জেরেই দাদাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে বালিগঞ্জ গার্ডেন্সের ঘটনা। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (৫৩)। খুনের অভিযোগে রাতেই গ্রেফতার হয়েছেন সুদীপবাবুর মেজো ভাই রণদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ময়না-তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতদেহের পাঁজর ভাঙা। মাথা-সহ শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।

পুলিশ জানায়, বাড়িটির দোতলায় থাকতেন সুদীপবাবু, তিনতলায় রণদীপবাবু। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে পরিচারিকার কাজ করেন আলপনা মল্লিক নামে এক মহিলা। তিনি পুলিশকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি হাসপাতালে অসুস্থ মেয়েকে দেখতে যান। পরে বালিগঞ্জের ওই বাড়িতে এসে দেখেন সুদীপবাবু ঘরের দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে। কপালের এক দিক থেকে রক্ত গড়াচ্ছে। আলপনাদেবী বলেন, ‘‘আমাকে দেখেই জল চাইলেন। তবে মাথার আঘাত নিয়ে জিজ্ঞাসা করা সত্ত্বেও বলেননি।’’ আলপনাদেবীই তাঁর প্রাথমিক শুশ্রূষা করন এবং কাজ সেরে বাড়ি চলে যান।

Advertisement

পুলিশ জানায়, রাতে ২টো নাগাদ ওই বাড়ি থেকে চিৎকার শুনে স্থানীয়েরা গড়িয়াহাট থানায় ফোন করেন। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। যান লালবাজারের অফিসারেরাও। তারাই সুদীপবাবুকে রক্তাক্ত ও অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে। এসএসকেএমে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। গ্রেফতার হন রণদীপবাবু। পুলিশ জানায়, ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছিল আগেই। আর পরিবারের অন্যদের সঙ্গে বনিবনা না থাকায় ওই বাড়িতে শুধু রণদীপবাবু ও সুদীপবাবুই থাকতেন। পুলিশের অনুমান, সম্পত্তি নিয়ে বচসার জেরেই দাদাকে খুন করেন রণদীপবাবু। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা রড ও হাতুড়ি মিলেছে।

অন্য দিকে, পর্ণশ্রী থানা এলাকার একটি খুনের ঘটনায় শুক্রবার দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার অভয় বিদ্যালঙ্কার রোডের একটি বাড়িতে সনৎ শূর রায় নামে এক ব্যক্তির দেহ মেলে। তবে, মৃতদেহে গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলেই জানায় পুলিশ। সনৎবাবুর স্ত্রী রত্নাদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে সুমিতা মণ্ডল ও মৌসুমী রাম নামে ওই দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়। পুলিশ জানায়, সনৎবাবুর উল্টো দিকের ঘরে ভাড়া থাকতেন অভিযুক্তেরা। রত্নাদেবীর অভিযোগ, বাড়ি হাতানোর লোভেই তাঁর স্বামীকে খুন করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েকে নিয়ে মহেশতলায় থাকতেন রত্নাদেবী। পর্ণশ্রীর বাড়িতে সনৎবাবু একা থাকতেন। ঘটনার দু’দিন আগেও পড়ে গিয়ে তাঁর মাথা ফাটলে লালন নামে এক গাড়িচালক চিকিৎসা করান। পুলিশ জানায়, রত্নাদেবীর করা এফআইআরে লালনেরও নাম আছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন