মৃত সেই ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া হর্ষ ভলানি। নিজস্ব চিত্র।
বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন, এমনকি কয়েক মাস ধরে সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেকে। শুক্রবার রাতে ধর্মতলার হোটেল থেকে উদ্ধার হয় গুজরাতের বাসিন্দা হর্ষ ভলানির (২৪) দেহ। ওই যুবকের মৃত্যুর কিনারা করতে নেমে তদন্তকারীরা এমনই তথ্য হাতে পেয়েছেন।
গুজরাতের রাজকোটের বাসিন্দা হর্ষ জামশেদপুরের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমবিএ-র দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি আমদাবাদ থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। শুক্রবার রাতেই ধর্মতলার হোটেলের চারতলার ঘরের শৌচালয় থেকে তাঁর গলায় গভীর ক্ষত-সহ দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পড়াশোনায় ও খেলাধুলোয় ভাল ছিলেন হর্ষ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যা মনে করলেও তাঁর পরিবার তা মানতে নারাজ। এই ঘটনায় হর্ষের পরিবার পুলিশে অভিযোগ না করলেও নিউ মার্কেট থানার পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত করছে। লালবাজার সূত্রে খবর, তদন্তের স্বার্থে শীঘ্রই জামশেদপুর রওনা দেবে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ।
একমাত্র ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে শনিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় চলে আসেন হর্ষের বাবা প্রভুদাস মুলজিভাই ভলানি। ময়না-তদন্তের পরে ছেলের দেহ নিয়ে গভীর রাতে গুজরাতের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। শনিবার বিকেলে হর্ষের দুই বন্ধু জামশেদপুর থেকে কলকাতায় আসেন। এর পরেই তাঁদের ও পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাতেই জানা গিয়েছে, হর্ষের এক বান্ধবীর সঙ্গে সম্প্রতি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দু-তিন মাস ধরে হর্ষ একাই থাকতে পছন্দ করছিলেন। এমনকি তাঁর মোবাইলও অনেক সময় বন্ধ থাকত। পুলিশকে হর্ষের বাবা জানিয়েছেন, বাড়িতে বেশি ফোন করতেন না হর্ষ। বাড়ির লোকেরাই করতেন। ফোন বন্ধ থাকলে ছেলের বন্ধুদের ফোন করে খবর নিতেন তাঁরা।
তবে জামশেদপুর থেকে কলকাতার হোটেলে কেন এলেন হর্ষ? কলকাতায় বিশেষ কারও সঙ্গে দেখা করতেই কি এসেছিলেন তিনি? এই সব প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকে।