রাস্তা সারাইয়ের জন্য বন্ধ উড়ালপুল, হয়রানি যাত্রীদের

ব্যারাকপুর কমিশনারেট সূত্রের খবর, ভগবতী পার্কের কাছে যেখান থেকে উড়ালপুল শুরু হচ্ছে, সেখানে স্পিড ব্রেকারের উচ্চতা বেশি হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছিল। এ দিন দুপুরে স্পিড ব্রেকারের উচ্চতা কমানোর কাজ চলছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ০১:৪৫
Share:

দুর্ভোগ: নাগেরবাজার উড়ালপুল বন্ধ থাকার জেরে যানজট। বুধবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

নাগেরবাজার উড়ালপুল বন্ধ থাকায় বুধবার দুপুরে ভোগান্তির শিকার হলেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

ব্যারাকপুর কমিশনারেট সূত্রের খবর, ভগবতী পার্কের কাছে যেখান থেকে উড়ালপুল শুরু হচ্ছে, সেখানে স্পিড ব্রেকারের উচ্চতা বেশি হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছিল। এ দিন দুপুরে স্পিড ব্রেকারের উচ্চতা কমানোর কাজ চলছিল। তার জন্য উড়ালপুল দিয়ে গাড়ির যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়। প্রসঙ্গত, নাগেরবাজার মোড়ে যানজট কমানোর দিকে লক্ষ্য রেখেই উড়ালপুলটি তৈরি হয়েছিল। এ দিন ব্যস্ত সময়ে সেই উড়ালপুল বন্ধ থাকায় ফল যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। অমরপল্লি সংলগ্ন একটি শপিং মল পেরোনোর পরেই বারাসত ও বিমানবন্দরগামী গাড়ির গতি মন্থর হয়ে যায়। উড়ালপুলের আর এক প্রান্তে সরোজিনী নায়ডু কলেজের মুখ থেকে শুরু হয় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি। উড়ালপুল দিয়ে এক কিলোমিটার পথ যেতে যেখানে মাত্র কয়েক মিনিট লাগে, এ দিন নীচ দিয়ে সেই দূরত্বই যেতে সময় লেগেছে অন্তত পনেরো মিনিট।

ওই পথে রোজকার যাত্রী সুহাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উড়ালপুলের নীচের রাস্তা বেশ চওড়া। কিন্তু রাস্তার ধারে বেআইনি পার্কিং, রিকশা, অটোস্ট্যান্ড, ফুটপাতে দোকানের জেরে ওই পথে যাতায়াত কোনও দিনই মসৃণ হয় না। নাগেরবাজার মোড়ে এমনিতেই সব সময়ে ভীষণ গাড়ির চাপ থাকে। এর উপরে উড়ালপুল বন্ধ থাকায় খুবই সমস্যা হয়েছে।’’ এ দিন সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়া অ্যাম্বুল্যান্সগুলি। দিনের ব্যস্ত সময়ে বারাসত, বসিরহাট, বাদুড়িয়া-সহ উত্তর ২৪ পরগনার গ্রামীণ এলাকা থেকে অহরহ ওই রাস্তা দিয়ে আর জি করের উদ্দেশে অ্যাম্বুল্যান্সের যাতায়াত থাকে। যানজট এড়াতে রোগী নিয়ে উড়ালপুলের পথই পছন্দ করেন অ্যাম্বুল্যান্সের চালকেরা। এ দিন সেই পথ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি এড়াতে পারেননি তাঁরাও। নাগেরবাজার রাষ্ট্রগুরু অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা দীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাস, অটো, রিকশা, দু’চাকা-চার চাকার গাড়ির ভিড়ে রোগী নিয়ে আটকে পড়ে একাধিক অ্যাম্বুল্যান্সও।’’ দীপের প্রশ্ন, উড়াপুলের মুখে স্পিড ব্রেকারের উচ্চতা কমানোর দরকার ছিল। কিন্তু সেই কাজ রাতে হল না কেন? তা হলে তো দিনের ব্যস্ত সময়ে এ ভাবে হয়রানি হত না।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এ দিন দুপুরে ওই অঞ্চলে যানজট চাক্ষুষ করেন খোদ দক্ষিণ দমদমের পুরপ্রধান। তিনি বলেন, ‘‘এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় রাতে কাজ হলেই ভাল হত।’’ এ বিষয়ে ব্যারাকপুর ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই স্পিড ব্রেকারের উচ্চতা কমানো হয়েছে। কাজ যাতে রাতে হয়, সেই চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু যে ঠিকাদার সংস্থার সাহায্যে মেরামতির কাজ হয়েছে, তাদের অন্য একটি জায়গায় দিনের বেলা কাজ চলছিল। পনেরো-কুড়ি মিনিট উড়ালপুল বন্ধ ছিল। খুব একটা সমস্যা হয়নি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন