প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে একা থাকা বয়স্কদের নানা রকম সমস্যা মেটাতে একাধিক প্রকল্প চালু করেছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পুলিশের তরফেও এমন কিছু প্রকল্প রয়েছে। বয়স্ক মানুষের শারীরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থাও এনেছে নানা প্রযুক্তিগত সাহায্য। তার পরেও বিভিন্ন সময়ে বয়স্কদের নানা সমস্যার কথা সামনে আসে।
কেউ হয়তো আচমকাই এমন অসুস্থ হয়ে পড়লেন যে বাড়ি থেকে এক পা বেরোনো সম্ভব নয়। অথচ বাড়িতে খাবার নেই। ওষুধ নেই। অথবা বাড়ির ফোন খারাপ, মোবাইলটাও কাজ করছে না। বিদেশে থাকা ছেলেকে কোনও জরুরি খবর দিতে হবে। বৃদ্ধ মানুষটি বাইরে বেরিয়ে তা করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে কী করবেন তাঁরা? এঁদের জন্যই এ বার আসছে নতুন অ্যাপ ‘ভালবাসা’। পুলিশ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সল্টলেক ও সংলগ্ন এলাকায় বয়স্কদের জন্য এই অ্যাপ চালুর প্রক্রিয়া চলছে। হাতের কাছে মোবাইল ফোন থাকলেই হবে। শুধু একটি মেসেজ বা অ্যাপে জানাতে হবে নিজের প্রয়োজনটুকু।
যেমন, ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ কাছে না থাকলে বা হঠাৎ শরীর খারাপ লাগলে ওই অ্যাপে জানানো যাবে। জিপিআরএস-এ সেই বৃদ্ধ বা বৃদ্ধার বাড়ি খুঁজে নিয়ে সাহায্যের হাত পৌঁছে যাবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই। বাড়িতে চুরি বা কোনও দুর্ঘটনা ঘটলেও জানানো যাবে ওই অ্যাপে। বাড়ি এসে ঠিক কী প্রয়োজন, তা জেনে নিয়ে সেইমতো সাহায্য করবে ‘ভালবাসা’। পুলিশ সংক্রান্ত বিষয় হলে খবর দেবে পুলিশকে।
উদ্যোক্তাদের অন্যতম, স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘‘এখন বেশির ভাগ বাড়িতেই বয়স্করা বড্ড নিঃসঙ্গ। তাঁদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই এই অ্যাপ তৈরি হয়েছে। সল্টলেকে কেন্দ্রীয় ভাবে একটি জায়গায় সাহায্যকারী লোকজন থাকবেন। অ্যাপে কোনও বয়স্ক মানুষ সাহায্য চাইছেন, জানতে পারলেই তাঁরা সেখানে পৌঁছে যাবেন।’’ পরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিজনদেরও খবর দেওয়ার কাজটা সেরে দেবেন সেই সাহায্যকারীরাই। কিন্তু বয়স্ক মানুষেরা কী ভাবে জানতে পারবেন এই পরিষেবার খুঁটিনাটি? উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, অগস্ট থেকে এই অ্যাপ চালু হলে সল্টলেকের বা়ড়ি বাড়ি অ্যাপ ও পরিষেবা সংক্রান্ত তথ্য সম্বলিত লিফলেট বিলি করা হবে। অ্যাপ ডাউনলোড করতে না-জানলে শিখিয়ে দেওয়া হবে সেটাও।